ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতির দরকার যোগ্য লিডারশিপ: আহমাদুল্লাহ

1 month ago 27

বন্যা-টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তায় গাড়ির চাকা যেন গর্তে না পড়ে সেজন্য স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে থেকে চালকদের সঠিক পথ দেখিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আবেগাপ্লুত হয়েছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।

তিনি বলেন, নোয়াখালীর চৌরাস্তা থেকে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে আছে। যেখানে গর্ত সেখানে যেন গাড়ি না পড়ে। তারা দেখিয়ে দিচ্ছে গাড়ি কোন দিক দিয়ে যাবে। পুরো রাস্তা জুড়ে ছিল। এমন দৃশ্য বাংলাদেশে আর কখনো দেখা যায়নি। বাঙালি জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। দরকার তাদের যোগ্য লিডারশিপ। তাহলে তারা এ দেশকে সোনার টুকরা হিসেবে পরিণত করতে পারবে। মানুষ অদম্য, স্পৃহা আছে ভালো কাজের জন্য। বন্যায় যেমন আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে দেখেছি। অন্য সবক্ষেত্রেও আমরা তা দেখেছি।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ও কুশাখালী ইউনিয়নে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সদরের শহর কসবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুশাখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এ্যানি চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়াসহ আশপাশের মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

বন্যার্তদের ত্রাণ দেওয়া নিয়ে আহমাদুল্লাহ বলেন, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ১৫-১৮টি কাভার্ড ভ্যান ভর্তি করে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। শুধু এ অঞ্চল নয়, খুলনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আমরা ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছি। যেখানে আমরা পৌঁছাতে পারছি না, সেখানে সেনাবাহিনীর কাছে আমরা মালামাল দিয়ে দিয়েছি। আমি অনুরোধ করবো, সবাই এসব অঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়ান। সাধ্য অনুযায়ী বন্যার্তদের কষ্ট দূর করতে চেষ্টা করেন।

স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, যারা ত্রাণ নিয়ে আসছে তাদের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ করুন। অনেক জায়গায় কামড়া কামড়ি করে ত্রাণ লুট করে নিচ্ছে। আপনারা যদি এ কাজ করেন, তাহলে বদনাম হবে আপনাদের। মানুষ আপনাদের পাশে দাঁড়ানো থেকে সরে যাবে। ত্রাণ নিয়ে আসার সময় আমাকে কয়েক জায়গায় আটকানো হয়েছে মালামাল রেখে দেবে বলে। পরে আমাকে দেখে বলে মালামাল না দিলেও হবে, মুসহাবা করলেই হবে। স্থানীয়দেরকে বলবো যারা বাহির থেকে ত্রাণ দিতে আসে তাদেরকে শ্রদ্ধা করেন। পারলে এক বেলা খাওয়াবেন। তাদেরকে রাস্তা দেখিয়ে দেবেন। সব নিজের এলাকার দিকে টেনে নেবেন না। যেখানে প্রয়োজন সেখানে পাঠিয়ে দিন।

শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, একজন মুসলমান কখনো স্বার্থপর হতে পারে না। আমরা স্বার্থপর হবো না। ধর্ম-বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে সকল বন্যার্ত মানুষের দুঃখ-কষ্ট-দুর্দশা লাঘবে আমাদের সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে হবে। আপনার বাসায় একটা ত্রাণ এসেছে, আবার আসলে আপনি নেবেন না। যে বাসায় পায়নি, তাদের দেখিয়ে দেন। ত্রাণ বিতরণে স্থানীয়দের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

কাজল কায়েস/এফএ/এমএস

Read Entire Article