ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক কমলা

ওজন কমানো বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন সহজলভ্য একটি ফল কমলা। কম ক্যালোরি, বেশি আঁশ ও প্রাকৃতিক ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ এই ফলটি দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে, কমায় অপ্রয়োজনীয় খিদে। পাশাপাশি শরীরের বিপাকক্রিয়া সচল রেখে চর্বি জমার প্রবণতাও কমাতে ভূমিকা রাখে কমলা। তাই স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কমলার গুরুত্ব উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: কমলা কম ক্যালরিযুক্ত হলেও এতে রয়েছে পর্যাপ্ত ফাইবার ও পানি। এটি দ্রুত পেট ভরে যাওয়ার অনুভূতি দেয়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে। ওজন কমানো বা নিয়ন্ত্রণে রাখার ডায়েটে কমলা তাই একটি আদর্শ ফল। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: কমলা ভিটামিন ‘সি’-এর অন্যতম প্রধান উৎস। এই ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত কমলা খেলে সর্দি-কাশি, জ্বর কিংবা মৌসুমি সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়। বিশেষ করে আবহাওয়া বদলের সময় কমলা হতে পারে প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষাকবচ। ত্বক রাখে উজ্জ্বল ও সতেজ: কমলায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ‘সি’ ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। ফলে ত্

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক কমলা

ওজন কমানো বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন সহজলভ্য একটি ফল কমলা। কম ক্যালোরি, বেশি আঁশ ও প্রাকৃতিক ভিটামিন সি–সমৃদ্ধ এই ফলটি দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে, কমায় অপ্রয়োজনীয় খিদে। পাশাপাশি শরীরের বিপাকক্রিয়া সচল রেখে চর্বি জমার প্রবণতাও কমাতে ভূমিকা রাখে কমলা। তাই স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কমলার গুরুত্ব উপেক্ষা করার সুযোগ নেই।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: কমলা কম ক্যালরিযুক্ত হলেও এতে রয়েছে পর্যাপ্ত ফাইবার ও পানি। এটি দ্রুত পেট ভরে যাওয়ার অনুভূতি দেয়, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে। ওজন কমানো বা নিয়ন্ত্রণে রাখার ডায়েটে কমলা তাই একটি আদর্শ ফল।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক কমলা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: কমলা ভিটামিন ‘সি’-এর অন্যতম প্রধান উৎস। এই ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত কমলা খেলে সর্দি-কাশি, জ্বর কিংবা মৌসুমি সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়। বিশেষ করে আবহাওয়া বদলের সময় কমলা হতে পারে প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষাকবচ।

ত্বক রাখে উজ্জ্বল ও সতেজ: কমলায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ‘সি’ ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। ফলে ত্বক থাকে টানটান, উজ্জ্বল এবং বয়সের ছাপ পড়ে দেরিতে। নিয়মিত কমলা খেলে ত্বকের শুষ্কতা কমে, ব্রণ ও দাগছোপের সমস্যাও অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে থাকে।

আরও পড়ুন:
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভান্ডার ফুলকপি
অল্প সময়ে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে পেঁয়াজ
শীতে পিরিয়ডের সময় যেসব ফল না খাওয়াই ভালো

হৃদ্‌স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: কমলায় থাকা ফাইবার, পটাশিয়াম ও ফ্ল্যাভোনয়েড হৃদ্‌যন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। ফলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি ধীরে ধীরে কমে আসে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক কমলা

হজম শক্তি বাড়ায়: প্রতিদিন কমলা খেলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়। এতে থাকা প্রাকৃতিক ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক রাখে। যারা প্রায়ই পেট ভারী বা অস্বস্তিতে ভোগেন, তাদের জন্য কমলা হতে পারে সহজ সমাধান।

শরীর রাখে হাইড্রেটেড: কমলার ভেতরে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। প্রতিদিন একটি বা দুটি কমলা শরীরের পানিশূন্যতা কমাতে সাহায্য করে, বিশেষ করে গরমের সময়। এতে শরীর থাকে চাঙ্গা ও কর্মক্ষম।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক কমলা

মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে: কমলায় থাকা প্রাকৃতিক উপাদান মানসিক চাপ কমাতে ভূমিকা রাখে। ভিটামিন ‘সি’ স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ফলে মন থাকে ফুরফুরে। কর্মব্যস্ত জীবনে প্রতিদিন একটি কমলা মানসিক স্বস্তিও দিতে পারে।

চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো: কমলায় থাকা ভিটামিন ‘এ’ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়ক। দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কাজ করা মানুষদের জন্য কমলা হতে পারে চোখের জন্য উপকারী একটি ফল।

তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন

জেএস/এএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow