ওমরের (রা.) শাসনকালে ভূমিকম্প, ভাষণে যা বলেছিলেন তিনি
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাবের (রা.) শাসনকালে মদিনায় ভূমিকম্প হয়েছিল। হজরত ওমরের (রা.) ছেলে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরের (রা.) স্ত্রী সাফিয়্যা বিনতে আবি ওবায়েদ সাকাফী থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, ওমরের (সা.) যুগে একবার মদিনায় ভূমিকম্প হলো। তখন ওমর (রা.) এক ভাষণে বলেছিলেন, লোকসকল! কী হলো এটা! কত দ্রুত আপনারা নতুন কিছু নিয়ে এলেন! এ রকম কিছু যদি আবার হয়, তাহলে আমাকে আর মদিনায় পাবেন না, আমি মদিনা ছেড়ে চলে যাবো। (মুসনাদে আহমদ) নবীজির (সা.) ও আবু বকরের (রা.) শাসনকালে ভূমিকম্প হয়নি। তাই ওমর (রা.) ভূমিকম্পকে ‘নতুন ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, মদিনবাসী বা তার কোনো গুনাহের কারণেই হয়তো মদিনায় ভূমিকম্প হলো! তাই তিনি নিজেও সাবধান হয়েছেন, মদিনার সবাইকে সাবধান করেছেন। হজরত ওমরের (রা.) ভাষণ থেকে বোঝা যায়, ভূমিকম্প হলে এটাকে আল্লাহ তাআলার সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা উচিত। আল্লাহ তাআলা কোনো কারণে অসন্তুষ্ট হয়েছেন কি না তা ভেবে দেখা উচিত। নেক আমল বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) আল্লাহর রাসুলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাবান একজন সাহাবি। ইসলামের আবির্ভাবের কয়েক বছর পর ইসলাম
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাবের (রা.) শাসনকালে মদিনায় ভূমিকম্প হয়েছিল।
হজরত ওমরের (রা.) ছেলে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরের (রা.) স্ত্রী সাফিয়্যা বিনতে আবি ওবায়েদ সাকাফী থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, ওমরের (সা.) যুগে একবার মদিনায় ভূমিকম্প হলো। তখন ওমর (রা.) এক ভাষণে বলেছিলেন, লোকসকল! কী হলো এটা! কত দ্রুত আপনারা নতুন কিছু নিয়ে এলেন! এ রকম কিছু যদি আবার হয়, তাহলে আমাকে আর মদিনায় পাবেন না, আমি মদিনা ছেড়ে চলে যাবো। (মুসনাদে আহমদ)
নবীজির (সা.) ও আবু বকরের (রা.) শাসনকালে ভূমিকম্প হয়নি। তাই ওমর (রা.) ভূমিকম্পকে ‘নতুন ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, মদিনবাসী বা তার কোনো গুনাহের কারণেই হয়তো মদিনায় ভূমিকম্প হলো! তাই তিনি নিজেও সাবধান হয়েছেন, মদিনার সবাইকে সাবধান করেছেন।
হজরত ওমরের (রা.) ভাষণ থেকে বোঝা যায়, ভূমিকম্প হলে এটাকে আল্লাহ তাআলার সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা উচিত। আল্লাহ তাআলা কোনো কারণে অসন্তুষ্ট হয়েছেন কি না তা ভেবে দেখা উচিত। নেক আমল বাড়িয়ে দেওয়া উচিত।
হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) আল্লাহর রাসুলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাবান একজন সাহাবি। ইসলামের আবির্ভাবের কয়েক বছর পর ইসলাম গ্রহণ করলেও পরবর্তীতে তিনি সাহাবিদের মধ্যে দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিতে পরিণত হন। সাহাবিদের মধ্যে আবু বকরের (রা.) পরই ছিল তার অবস্থান। নবীজি (সা.) তাকে ও আবু বকরকে সাহাবিদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে উল্লেখ করেছেন এবং তাদের অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন। ওহাব আস-সুয়ায়ী থেকে বর্ণিত আলী (রা.) একদিন খুতবা দিতে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করলেন, আপনারা কি জানেন নবীজির (সা.) পর এই উম্মতের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি কে? সবাই বললেন আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ। তিনি বললেন, না, নবীজির (সা.) পর এই উম্মতের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি আবু বকর, তারপর ওমর। (মুসনাদে আহমদ)
৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে নবীজির (সা.) ওফাতের পর সাহাবিদের সর্বসম্মতিক্রমে হজরত আবু বকর (রা.) খলিফা হন। তার খেলাফত মাত্র দুই বছর স্থায়ী হয়। ৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি বুঝতে পারেন তার হায়াত শেষ হয়ে এসেছে। মৃত্যুশয্যায় তিনি হজরত ওমরকে (রা.) তার উত্তরসূরি হিসেবে নিযুক্ত করেন।
ওএফএফ
What's Your Reaction?