ওমানের ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, যেতে পারবেন দক্ষ কর্মীরা

3 months ago 33

ফের খুলেছে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার ওমান। প্রাথমিকভাবে দেশটি বাংলাদেশ থেকে ৫ ধরনের দক্ষ কর্মী নেবে। এছাড়া মোট ১০ ধরনের ব্যক্তিকে ভিসা দেবে দেশটি। বুধবার (১২ জুন) ঢাকার ওমান দূতাবাস বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে।

ওমান দূতাবাস এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সম্প্রতি ওমানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, গত বছর অক্টোবরে আরোপিত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা থেকে নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণিকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে যাদের মধ্যে রয়েছে- ফ্যামিলি ভিসা, উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিজিট ভিসা, ডাক্তার, প্রকৌশলী, নার্স, শিক্ষক, হিসাবরক্ষক, বিনিয়োগকারী এবং সব ধরনের অফিসিয়াল ভিসা এবং উচ্চ-আয়ের আর্থিক ক্ষমতা সম্পন্ন পর্যটক।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেছে, ঢাকাস্থ ওমান দূতাবাস উল্লেখিত শ্রেণিভুক্ত আবেদনকারীদের কাছ থেকে ভিসা আবেদন গ্রহণ করবে ও ভিসা ইস্যুর ব্যাপারে রয়্যাল ওমান পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করবে। আবেদনকৃত ভিসার পক্ষে আবেদনকারী তার যাবতীয় কাগজপত্র যথাযথ সত্যায়নপূর্বক যাচাই বাছাইয়ের জন্য দূতাবাসে জমা দিতে হবে। ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে প্রত্যেক আবেদনকারীর সরবরাহকৃত তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের উপর নির্ভর করে এক থেকে চার সপ্তাহ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

‘এছাড়া ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সংক্রান্ত বিষয়ে দূতাবাস আশ্বস্ত করতে চায় যে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার ও ওমানী কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার বিষয়টি ত্বরান্বিত করতে উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ অনেক দূর এগিয়ে গেছে।’

এর আগে গতকাল বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর জানিয়েছেন, ওমানে ৯৬ হাজার কর্মী অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তাদের বৈধ করার আশ্বাস দিয়েছে ওমান সরকার। এ জন্য প্রত্যেক কর্মীকে মাসে ১২ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশের অনুরোধে এটি মওকুফ করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ ঘোষণা করে ওমান। মূলত ভিসার অপব্যবহার ও চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণ কর্মী থাকার অভিযোগ দেখিয়ে সিদ্ধান্তটি নিয়েছিল ওমান সরকার। সেই থেকে বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ রয়েছে ওমানের শ্রমবাজার।

আরএএস/এমএইচআর/জেআইএম

Read Entire Article