ওশান প্যারাডাইসের জমকালো ইফতার পার্টির অতিথি শতাধিক এতিম শিশু

9 hours ago 5

কক্সবাজারের একাধিক হেফজ ও এতিমখানার এতিম শিক্ষার্থীদের সৌজন্যে জমকালো ইফতার পার্টির আয়োজন করেছে সমুদ্রপাড়ের তারকা হোটেল ওশান প্যারাডাইস লিমিটেড (হোটেল এন্ড রিসোর্ট) কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় হোটেলের শাহসুজা হল রুমে আয়োজিত ইফতার পার্টিতে সুবিধাবঞ্চিত এতিম শতাধিক শিশু-কিশোর অংশ নেয়।

এতিম অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন হোটেলের পরিচালক আবদুল কাদের মিশু। এতে অতিথি ছিলেন হোটেলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মেজর (অব.) সিকদার।

হোটেল পরিচালক আবদুল কাদের মিশু বলেন, সিয়াম সাধনার এ মাস আমাদের বৈষম্যহীনতার শিক্ষা দেয়। কিন্তু রোজার শেষদিকে আমাদের কওমি মাদরাসা, হেফজ ও এতিমখানাগুলোতে এক করুণ দৃশ্য দেখা যায়। সাধারণত ২৫ রোজা থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে ছুটি হলে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর অভিভাবক বাচ্চাদের বাসায় নিয়ে যান। কিন্তু একদল বাচ্চাকে নিতে কেউ আসে না। এদের কারো বাবা-মা, কারো বাবা নেই- মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। অনেকের মা নেই, বাবা বাচ্চার খোঁজ রাখে না। এদের মাঝে যারা ভাগ্যবান তাদের অন্য স্বজনরা এসে কাউকে কাউকে নিয়ে যায়। আর বাকিরা সারাদিন নীরবে কাঁদে।

ওশান প্যারাডাইসের জমকালো ইফতার পার্টির অতিথি শতাধিক এতিম শিশু

মিশু আরও বলেন, ছোটবেলা থেকেই এলাকার আশপাশে এসব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। তাই এই শ্রেণির শিশুদের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করে আসা। দামি হোটেলগুলোতে তাদের যাওয়ার বা খাওয়ার সুযোগ কখনো হয়ে ওঠে না। আমরা সারাবছর পর্যটন সেবা দিই। তাই রোজায় পর্যটক কম থাকার সুযোগে আশপাশের হেফজ ও এতিমখানার শিশু-কিশোরদের পর্যটকদের মতোই কর্পোরেট ইফতারে অতিথি করে আসছে ওশান প্যারাডাইস লিমিটেড।

হোটেলটি চেয়ারম্যান এম. এন করিমের নির্দেশে দীর্ঘ একযুগ ধরে এ ধারা নীরবে চলে আসছে। শুধু ইফতার নয়, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাতেও শতাধিক এতিম শিশু-কিশোর শিক্ষার্থী হোটেলে অতিথি হিসেবে নিমন্ত্রণ পেয়ে থাকে।

অনুষ্ঠানের একাধিক খুদে অতিথি জানায়, গত ১৭টি রমজানে ছোলা-মুড়ি-শরবত খেয়ে ইফতার সেরেছি। আজ রাজকীয় খাবার খেয়েছি। ওনারা আমাদের মতো এতিমদের যেভাবে মূল্যায়ন করে আসছেন, আল্লাহপাক ওনাদেরও সেভাবে প্রতিদান দিবেন।

ইফতার পার্টিতে এইচআর ব্যবস্থাপক মাহবুব ইসলাম, হিসাব বিভাগ প্রধান মোহাম্মদ আলমগীর, বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ নুর সুমেল, সুমন, প্রকৌশলী আরাফাত, হাউস কিপিং ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হোসাইন, ফুডস এন্ড বেভারেজ ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম, এক্সিকিউটিভ সেফ আবু নাছের চৌধুরী, জনসংযোগ কর্মকর্তা সাংবাদিক সায়ীদ আলমগীর, আইটি বিভাগের কর্মকর্তা জিসান, ফ্রন্ট অফিস সুপারভাইজার আদিলসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মজীবীরা শিশু-কিশোর অতিথিদের সেবা দেন।

সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এএসএম

Read Entire Article