ওষুধসহ আরও কিছু পণ্যে নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এই ঘোষণা দেন তিনি। তার দাবি, বৈদেশিক আমদানি থেকে স্থানীয় উৎপাদকদের রক্ষায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আমদানিকৃত ওষুধের ওপর আরোপ করা হয়েছে ১০০ শতাংশ শুল্ক। কোনো কোম্পানি যদি যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা তৈরি না করে, তাহলে ওই কোম্পানির ওষুধ আমদানিতে শতভাগ শুল্ক কার্যকর হবে।
এছাড়া, সব ধরনের ভারী ট্রাকে ২৫ শতাংশ এবং রান্নাঘর ও বাথরুমের ক্যাবিনেটে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণাও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প বলেছেন, বাইরের দেশ থেকে বিপুল পরিমাণে এসব পণ্য এসে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদকদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বৈদেশিক আমদানি থেকে স্থানীয় উৎপাদকদের রক্ষায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নতুন করে আর শুল্ক আরোপ না করতে হোয়াইট হাউজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল আমেরিকার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো। তাদের অনুরোধ সত্ত্বেও পিছপা হয়নি প্রশাসন, বরং যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব শিল্প রক্ষায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলছে তারা।
ট্রাম্পের দাবি, ভারী ট্রাকের ওপর শুল্ক আরোপের উদ্দেশ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতাদের ‘অন্যায্য বিদেশি প্রতিযোগিতা’ থেকে রক্ষা করা। পিটারবিল্ট ও ম্যাক ট্রাকস’র মতো কোম্পানিগুলো এই শুল্কের ফলে উপকৃত হবে। এই কোম্পানিগুলো বাইরের চাপ থেকে সুরক্ষিত থাকবে।
রান্নাঘর ও বাথরুমের ক্যাবিনেটসহ কিছু আসবাবপত্রে নতুন শুল্কের কারণ হিসেবেও একই ধরনের বক্তব্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের। এক্ষেত্রেও ‘ব্যাপক পরিমাণে আমদানি ও এর ফলে স্থানীয় উৎপাদনকারীদের ক্ষতির’ কথাই বলছেন তিনি।
আরও জানা গেছে, আগামী সপ্তাহ থেকে সোফা ও অন্যান্য গদিযুক্ত আসবাবপত্রে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। নতুন ঘোষিত এসব শুল্ক ট্রাম্পের শুল্ক নীতির আরও সম্প্রসারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গত অগাস্টে ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতি কার্যকর করা শুরু হয়। উদ্দেশ্য, যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি ও উৎপাদন বৃদ্ধি। এছাড়া, এর অন্যান্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও রয়েছে। ৯০টিরও বেশি দেশের তার এই শুল্কনীতির প্রভাব পড়েছে।
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ