ওসমান হাদীর স্মরণে ইবিতে বিপ্লবী গান ও মিলাদ সন্ধ্যা

ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী শহিদ বীর শরিফ ওসমান হাদীর স্মরণে বিপ্লবী গান ও মিলাদ সন্ধ্যার আয়োজন করেছে ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যতিক্রম সাহিত্য সাংস্কৃতিক জোট। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ওসমান হাদীর স্মরণে দেশাত্মবোধক, বিপ্লবী, হামদ-নাত, বিদ্রোহী গান ও মিলাদ পরিবেশন করেন সংগঠনটির শিল্পীরা। পরে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মাঝে মুড়ি ও বাতাসা বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, আইআইইআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সংগঠনটির পরিচালক ওয়ায়েস কুরুনী ও সহকারী পরিচালক আবু সুফিয়ানসহ শতাধিক শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “হাদী মুখে ও অন্তরে বাংলাদেশকে ধারণ করতেন। তিনি এমন নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের জন্য কাজ করতেন যে, কেউ বুঝতেই পারেনি এমন একটি ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা আজ এক বিপ্লবীকে হারিয়েছি। কিন্তু হারাইলে চলবে না—হাদীর শিক্ষা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হব

ওসমান হাদীর স্মরণে ইবিতে বিপ্লবী গান ও মিলাদ সন্ধ্যা

ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী শহিদ বীর শরিফ ওসমান হাদীর স্মরণে বিপ্লবী গান ও মিলাদ সন্ধ্যার আয়োজন করেছে ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যতিক্রম সাহিত্য সাংস্কৃতিক জোট। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ওসমান হাদীর স্মরণে দেশাত্মবোধক, বিপ্লবী, হামদ-নাত, বিদ্রোহী গান ও মিলাদ পরিবেশন করেন সংগঠনটির শিল্পীরা। পরে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মাঝে মুড়ি ও বাতাসা বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, আইআইইআর-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সংগঠনটির পরিচালক ওয়ায়েস কুরুনী ও সহকারী পরিচালক আবু সুফিয়ানসহ শতাধিক শিক্ষার্থী।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “হাদী মুখে ও অন্তরে বাংলাদেশকে ধারণ করতেন। তিনি এমন নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের জন্য কাজ করতেন যে, কেউ বুঝতেই পারেনি এমন একটি ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা আজ এক বিপ্লবীকে হারিয়েছি। কিন্তু হারাইলে চলবে না—হাদীর শিক্ষা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তাহলেই কেউ আর আমাদের ওপর আধিপত্য কায়েম করতে পারবে না।”

আয়োজন সম্পর্কে সংগঠনটির পরিচালক ওয়ায়েস কুরুনী বলেন, “এই আয়োজন আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের একটি অংশ। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর শহীদ শরিফ ওসমান হাদী ভাই ছিলেন একজন লড়াকু বীর। তিনি আধিপত্যবাদ ও পশ্চিমা সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে অবস্থান নিয়েছিলেন। শাহবাগে দাঁড়িয়ে একাই ভিনদেশি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। তার দেখানো সাংস্কৃতিক চেতনাকে ধারণ করেই আমরা এই আয়োজন করেছি। বিপ্লবী গান এবং বাঙালি মুসলমানের সংস্কৃতির অংশ হিসেবে মিলাদ আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি।”

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow