ওসি প্রদীপ ও এসআই লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন শনিবার (২২ নভেম্বর) এ তথ্য জানান। তবে এখনো রায়ের কপি হাতে পাননি বলে জানান তিনি। এর আগে, চলতি বছরের ২ জুন হাইকোর্ট বিভাগ বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখে রায় দেন। আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন বলেন, হাইকোর্ট ২ জুন ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছিলেন। জুন মাস থেকে অপেক্ষায় ছিলাম কবে এ রায় প্রকাশ পাবে। আমরা আনন্দিত হয়েছি, এ রায় সই করা হয়েছে, প্রকাশ হয়েছে। আসামিরা এখন আপিল করার জন্য ৩০ দিন সময় পাবেন। আপিল করলে আপিল বিভাগে আপিল শুনানি হবে। আমরা আশা করবো সেখানেও এ রায় বহাল থাকবে। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে

ওসি প্রদীপ ও এসআই লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় প্রকাশ

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন শনিবার (২২ নভেম্বর) এ তথ্য জানান। তবে এখনো রায়ের কপি হাতে পাননি বলে জানান তিনি। এর আগে, চলতি বছরের ২ জুন হাইকোর্ট বিভাগ বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখে রায় দেন।

আইনজীবী এম সরোয়ার হোসেন বলেন, হাইকোর্ট ২ জুন ফাঁসির আদেশ বহাল রেখেছিলেন। জুন মাস থেকে অপেক্ষায় ছিলাম কবে এ রায় প্রকাশ পাবে। আমরা আনন্দিত হয়েছি, এ রায় সই করা হয়েছে, প্রকাশ হয়েছে। আসামিরা এখন আপিল করার জন্য ৩০ দিন সময় পাবেন। আপিল করলে আপিল বিভাগে আপিল শুনানি হবে। আমরা আশা করবো সেখানেও এ রায় বহাল থাকবে।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার যাবতীয় কার্যক্রম হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি দণ্ডিত আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।

দণ্ডের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে ২ জুন বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওসি প্রদীপসহ দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড ও অপর ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন আদালত।

এফএইচ/এমএমকে/এমএফএ/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow