বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয়ে ওয়েবসাইট হোস্টিং ও ক্লাউড সেবাকে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সোসাইটি (আইটিএস) সেবায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নেতারা। একই সঙ্গে আইটিএস খাতে কর অবকাশের মেয়াদ তিন বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
রোববার (৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন (বেসিস) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাজেট-পরবর্তী যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, সরকারের দয়া-দাক্ষিণ্য নয়। পলিসি সমর্থনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে চাই আমরা। সরকার যদি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তির চেয়ে দেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সুযোগ নিশ্চিত করে তাহলে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এতে ব্যবসায়ে খরচ কমে যাবে। তখন প্রযুক্তি খাতের কেউ আর প্রণোদনা চাইবেন না।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিটি খাতকে স্মার্ট করতে প্রযুক্তির ব্যবহারের বিকল্প নেই। সেই পথ ধরে বাজেটে নতুন প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও সাতটি বিষয় বাদ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো এ খাতের অধীনে আনতে হবে। তাতে কর অবকাশ সুবিধা দিতে হবে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো) সভাপতি ওয়াহিদ শরিফ বলেন, ‘আমার একটা প্রশ্ন রয়েছে, তা হলো কোন যুক্তিতে মেডিকেল ট্রান্সক্রিপশনের মতো খাত আইটিএস থেকে বাদ দেওয়া হলো। এতে তো স্পষ্টই আইসিটিতে রপ্তানি আয় কমবে। নিজেদের সক্ষমতা অর্জনে আমাদের এ সুযোগ দরকার। এ সুবিধা পেলে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। ব্রেইন-ড্রেইন কমবে।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সহ-সভাপতি আম্বারিন রেজা বলেন, ওয়েব হোস্টিং ও ক্লাউডে খরচের চাপ পড়লে তা ই-কমার্সের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ক্যাশলেস বাস্তবায়নে পেমন্টের ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেওয়া, ই-লার্নিংয়ে কর অব্যাহতি এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের টিডিএস উঠিয়ে নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, আইএসপি শতভাগ দেশি প্রতিষ্ঠান। এ খাতে প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে তৃতীয়বারও আইটিইএসে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের বিস্তার এখন ১০ শতাংশের মতো। স্মার্ট বাংলাদেশ ব্স্তবায়নে এ হার ৬০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এএএইচ/এমএএইচ/জেআইএম