কক্সবাজার দাপিয়ে বেড়ানো ১২ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার 

1 month ago 25
কক্সবাজার শহর দাপিয়ে বেড়ানো ১২ পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কক্সবাজার জেল গেটের চুইজাল রেস্টুরেন্ট এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ জানান, জেলগেট সংলগ্ন চুইজাল রেস্টুরেন্টের সামনে একদল ছিনতাইকারী পূর্বপরিকল্পিতভাবে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা গতিরোধ করে অস্ত্রের মুখে এক ভুক্তভোগীর দুই লাখ ৭৫ হাজার টাকা, একটি ডায়মন্ড এর রিং (যার মূল্য অনুমান ৫৫ হাজার টাকা), একটি মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ভুক্তভোগী এই বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশের একাধিক দল অভিযান শুরু করে। অভিযানে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ও স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই ঘটনায় জড়িতসহ ১২ জন পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তাররা হলো- কক্সবাজার পৌরসভার টেকপাড়ার মাসুদ হোসেনের ছেলে তানভীর হোসেন প্রকাশ পেটান, প্রকাশ আজাদুর রহমান (২২), কক্সবাজার পৌরসভার পাহাড়তলী এলাকার মো. শফিকের ছেলে মো. ইসমাঈল (২০), পাহাড়তলী ইসুলের ঘোনার এলাকার মো. সরওয়ারের ছেলে ইমরান সরওয়ার ইমন (২১), টেকপাড়ার মো. ফরিদের ছেলে মো. ইরফান ফারদিন (২০), মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোমের খোন্দকার পাড়া এলাকার মো. হোছনের ছেলে সিহাব প্রকাশ খোকন (২৯), কক্সবাজার পৌরসভার সমিতিপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে মো. সোহেল (২৮), বৌদ্ধমন্দির এলাকার কৃষ্ণ চন্দ্র দাশের ছেলে সুমন কান্তি দাশ (২৫), কক্সবাজার পৌরসভার নতুন বাহারছড়া এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে মো. হান্নান (১৯), পিটিস্কুল এলাকার মো. সেলিমের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৪) ও মো. হানিফের ছেলে মো. শাহীন প্রকাশ বুলেট (২২), পৌরসভার বাহারছড়ার মৃত ইসমাঈল মাঝির ছেলে হাসান মাহমুদ সাগর প্রকাশ ভিকি এবং টেকপাড়া চৌমুহনী এলাকার মোস্তফা কামালের ছেলে মিজবাউল হক মুন্না। গ্রেপ্তার সবাই পেশাদার ছিনতাইকারী। তাদের বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ নানা অপরাধের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Read Entire Article