কক্সবাজারে বনের ছয় একর জমি উদ্ধার

2 hours ago 4

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের কক্সবাজার রেঞ্জের লিংক রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংরক্ষিত বনের জবরদখল হওয়া প্রায় ছয় একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে বনের জমিতে দেওয়া বেড়া, সদ্য রোপিত সুপারি চারা, নির্মাণাধীন অস্থায়ী খামার ও পানের বরজ উচ্ছেদ করা হয়।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লিংকরোড বনবিট কাম চেক স্টেশনের আওতায় দক্ষিণ মুহুরী পাড়ার রক্ষিত বনের শামসুরঘোনা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. হাবিবুল হক।

কক্সবাজারে বনের ছয় একর জমি উদ্ধার

তিনি জানান, কক্সবাজার সরকারি কলেজের আশপাশে সরকারি মেডিকেল কলেজ, রেলস্টেশনসহ সরকারি নানা প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে লিংকরোড বনবিটের পাহাড়ি এলাকায় দখলবাণিজ্য চলে আসছে। ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা দুর্বৃত্তরা অপরাধীদের দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বনবিভাগের এসব জমি অবৈধ জবর দখল ও দখল চেষ্টা অব্যাহত রাখে। যা নিয়ে ভূমিদস্যুদের সঙ্গে বনকর্মীদের ইঁদুর-বিড়াল খেলা চলছিল।

রেঞ্জ কর্মকর্তা আরও বলেন, লিংকরোড বনবিটের রক্ষিত বনের শামসুরঘোনা এলাকায় বনভূমিতে ২০০৭-০৮ সালে ৪০ হেক্টর সামাজিক বনায়ন সৃজন করা হয়। যার মধ্যে টিকে থাকা মাত্র ১০ হেক্টর বাগান ২০২২-২৩ সনে খাড়াগাছ টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রয় করে কর্তন করা সম্ভব হয়। মূলত সেই জায়গাটি দখল নিতে ২-৩টি বনদস্যু চক্র উঠে-পড়ে লাগে। ৫ আগস্ট পরবর্তী অরাজক পরিস্থিতিতে বনদস্যুদের এই তৎপরতা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। জবরদখল ঠেকাতে ৫ আগস্টের পূর্বে ও পরে অভিযান চালিয়ে বনদস্যুদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয় বনবিভাগ।

কক্সবাজারে বনের ছয় একর জমি উদ্ধার

আরও পড়ুন-

নারায়ণগঞ্জে দখল থেকে উদ্ধার হলো ৬০ কোটি টাকার জমি
নড়াইলে দু’গ্রামের সংঘর্ষে আহত ২৫
কলাবাগানে স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ, স্বামী পলাতক

কিন্তু এরপরও দখল অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছিল বনদস্যুরা। দখল পাকা করতে অস্থায়ী স্থাপনা, ফলজ চারা রোপনসহ নানা কাণ্ড ঘটায় তারা। খবর পেয়ে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের ডিএফওর দিকনির্দেশনায়, কক্সবাজার সদর সহকারী বন সংরক্ষকের তত্ত্বাবধায়নে ও রেঞ্জ কর্মকর্তার নেতৃত্বে কক্সবাজার রেঞ্জের চাইন্দা, কলাতলী, কস্তুরাঘাট, লিংকরোড বিট কাম চেক স্টেশনের স্টাফ ও সিপিজি সদস্যরা দখল উচ্ছেদে অভিযান চালায়। অভিযানে সদ্য রোপিত সুপারি চারা, নির্মাণাধীন অস্থায়ী পোল্ট্রি ফার্ম, পানের বরজসহ আশেপাশের সকল ঘেরাবেড়া উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে আনুমানিক সাড়ে ৫ একর জায়গা উদ্ধার করা হয়।

কক্সবাজার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. হাবিবুল হক বলেন, দুর্গম এলাকা হওয়ায় আগেই জায়গাটি জবরদখল ছিল। একাধিক অভিযানের পরও জবর দখল রোধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গত একমাসে উক্ত এলাকায় তিনবার অভিযান চালানো হয়। দখল উচ্ছেদ করে এলেই পুনরায় জবরদখল করে। আশা করছি নিয়মিত অভিযানে জবরদখল প্রতিহত করা সম্ভব হবে।

সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এমএস

Read Entire Article