কবরের আজাব থেকে মুক্তির ২ দোয়া

নবীজি (সা.) থেকে এ রকম বেশ কিছু দোয়া বর্ণিত রয়েছে যেগুলোতে তিনি কবরের ফিতনা ও কবরের আজাব থেকে মুক্তি চেয়েছেন। আমরা এখানে এ রকম দুটি দোয়া উল্লেখ করছি: ১. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দোয়া করতেন, اللَّهُمَّ إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ العَجْزِ وَالكَسَلِ وَالجُبْنِ وَإِلٰهَرَمِ وَالبُخْلِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ المَحْيَا وَالمَمَاتِ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আউজুবিকা মিনাল আজযি ওয়াল কাসালি ওয়াল জুবনি ওয়াল হারামি ওয়াল বুখলি ওয়া আউজুবিকা মিন আজাবিল ক্বাবরি ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহয়া ওয়াল মামাতি। অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চই আমি তোমার কাছে অক্ষমতা, অলসতা, ভীরুতা, স্থবিরতা ও কৃপণতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি কবরের আজাব থেকে, আশ্রয় কামনা করছি জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম) ২. সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাহাবিদের এ দোয়াটি শেখাতেন,  اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُب

কবরের আজাব থেকে মুক্তির ২ দোয়া

নবীজি (সা.) থেকে এ রকম বেশ কিছু দোয়া বর্ণিত রয়েছে যেগুলোতে তিনি কবরের ফিতনা ও কবরের আজাব থেকে মুক্তি চেয়েছেন। আমরা এখানে এ রকম দুটি দোয়া উল্লেখ করছি:

১. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দোয়া করতেন,

اللَّهُمَّ إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ العَجْزِ وَالكَسَلِ وَالجُبْنِ وَإِلٰهَرَمِ وَالبُخْلِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ المَحْيَا وَالمَمَاتِ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আউজুবিকা মিনাল আজযি ওয়াল কাসালি ওয়াল জুবনি ওয়াল হারামি ওয়াল বুখলি ওয়া আউজুবিকা মিন আজাবিল ক্বাবরি ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিল মাহয়া ওয়াল মামাতি।

অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চই আমি তোমার কাছে অক্ষমতা, অলসতা, ভীরুতা, স্থবিরতা ও কৃপণতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি কবরের আজাব থেকে, আশ্রয় কামনা করছি জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

২. সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাহাবিদের এ দোয়াটি শেখাতেন, 

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ نُرَدَّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا وَعَذَابِ الْقَبْرِ

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বুখলি ওয়া আউযুবিকা মিনাল জুবনি ওয়া আউযুবিকা মিন আন উরাদ্দা ইলা আরযালিল উমুরি ওয়া আউযুবিকা মিন ফিতনাতিদ দুনইয়া ওয়া আজাবিল কাবরি।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কৃপণতা থেকে, আশ্রয় চাই ভীরুতা থেকে, আশ্রয় চাই বার্ধক্যের নিকৃষ্ট অবস্থায় উপনীত হওয়া থেকে এবং আশ্রয় চাই দুনিয়ার ফিতনা ও কবরের আজাব থেকে। (সহিহ বুখারি)

মৃত্যুর মাধ্যমে মানুষের দুনিয়ার জীবন শেষ হয়। শুরু হয় কবরের জীবন, তারপর সংঘটিত হবে কেয়ামত; পুরো বিশ্বজগত ধ্বংস হয়ে যাবে এবং সব প্রাণের মৃত্যু হবে। তারপর আল্লাহ তাআলা আবার সবাইকে জীবন দান করবেন, ভালো-মন্দ কাজের বিচার করবেন এবং চূড়ান্ত পরিণাম অর্থাৎ জান্নাত ও জাহান্নাম নির্ধারিত হবে।

জান্নাত ও জাহান্নাম মানুষের চূড়ান্ত ঠিকানা, চূড়ান্ত প্রতিফলের জায়গা। জান্নাত-জাহান্নামের মানুষ যাবে কেয়ামত ও শেষ বিচারের পর। কিন্তু দুনিয়ার ভালো ও মন্দ কাজের প্রতিদান ও শাস্তি শুরু হয়ে যায় মৃত্যুর পর কবরের জীবন থেকেই। বিভিন্ন হাদিসে নবীজি (সা.) কবরের বিভিন্ন শাস্তি ও প্রতিদানের কথা বলেছেন।

আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, কাউকে যখন দাফন করা হয় এবং তার সঙ্গীরা চলে যায়, তখন মুগুর হাতে ফেরেশতা আসেন, তাকে বসান এবং বলেন, এই ব্যক্তি (মুহাম্মাদ সা.) সম্পর্কে তুমি কী বলো? যদি সে মুমিন হয়, তাহলে বলে, আমি সাক্ষ্য দেই আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ তার বান্দা ও রাসুল। ফেরেশতা বলেন, তুমি সত্য বলেছ। তারপর তার জন্য জাহান্নামের দিকে একটি দরজা খুলে দেন এবং বলেন, এটা তোমার জায়গা হতো যদি তুমি তোমার রবকে অস্বীকার করতে। যেহেতু তুমি তোমার রবের ওপর ইমান এনেছ, তাই তোমার জায়গা হলো এটা এবং জান্নাতের দিকে একটি দরজা খুলে দেন। মুমিন ব্যক্তি চায় দ্রুত সেখানে চলে যেতে। ফেরেশতা তাকে বলেন, শান্ত হও, তারপর তার কবর প্রশস্ত করে দেন। আর কাফের বা মুনাফিককে যখন বলা হয় তুমি এই ব্যক্তি সম্পর্কে কী বলো? সে বলে, আমি জানি না। আমি মানুষকে এটা ওটা বলতে শুনেছি। ফেরেশতা বলেন, তুমি জানোনি, শেখোনি, হেদায়াতও পাওনি। তারপর জান্নাতের দিকে একটি দরজা খুলে দেন এবং বলেন, যদি তুমি তোমার রবের ওপর ইমান আনতে, তাহলে এটা তোমার ঠিকানা হতো। তুমি যেহেতু কুফুরি করেছো, আল্লাহ তাআলা এই ঠিকানার পরিবর্তে তোমার জন্য এটা নির্ধারণ করেছেন এবং জাহান্নামের দিকে দরজা খুলে যায়। তারপর ফেরেশতা মুগুর দিয়ে এত জোরে আঘাত করেন, যে আঘাতের শব্দ জীন ও মানুষ ছাড়া আল্লাহর সব সৃষ্টি শুনতে পায়। (মুসনাদে আহমদ)

ওএফএফ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow