ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পূজা চেরি। অভিনয় দিয়ে অল্প সময়েই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন। ক্যারিয়ারের প্রথম থেকেই তিনি দারুণ সব সিনেমা উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব এই নায়িকা।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে যে, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ (মহিলা শাখা) কমিটিতে অমুসলিম শাখায় আইন ও মানবাধিকার সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছেন পূজা চেরি। বিষয়টি প্রকাশ হতেই শুরু হয় হইচই। দেখা যায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকে যেমন অবাক হয়েছেন এটি দেখে তেমনি অনেকে আবার প্রশংসাও করছেন নায়িকার। অনেকে আবার ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। তবে বিষয়টিকে ভুয়া বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য জানান তিনি।
মঞ্জুরুল ইসলাম লিখেছেন, ‘যারা ছাত্রশিবিরের আদর্শ এবং গঠনমূলক কাজের কাছে পরাজিত তারাই গুজবের আশ্রয় নিয়ে ছাত্রশিবিরকে মোকাবিলা করার চেষ্টা করে থাকে।’
তিনি লেখেন, ‘যুগে যুগে সত্য ও ন্যায়ের আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এরকম মিথ্যা প্রচারণা করেছে বিরোধীরা। কিন্তু তাদের এই সকল অপকৌশল ঐতিহাসিকভাবে পরাজিত হয়েছে। আমরা সচেতন ছাত্র-জনতাকে এসব মিথ্যাচার ও গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান করছি।’
এদিকে শিবিরের প্যাডে নিজের নাম দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী পূজা চেরীও। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে পূজা চেরি লিখেছেন, মানুষ এমন অবান্তর পোস্ট করে কেমন করে, আমার বোধগম্য নয়। আমি সাধারণত কোনো রিউমরস নিয়ে মাথা ঘামাই না, তারকাদের নিয়ে রিউমরস ছড়াবে এটাই স্বাভাবিক। মানুষের একটা কৌতূহল থাকে মিডিয়া পার্সন বা তারকাদের নিয়ে। কিন্তু আজকে যে বা যারা এই রিউমরসটা ছড়িয়েছেন, এটা নিয়ে আসলেই কিছু একটা বলা উচিত।
তিনি লেখেন, এটা শুধু রিউমরস পর্যায় পর্যন্ত থাকলে কোনো ব্যাপার ছিল না। এখানে এখন ধর্মের বিষয় চলে আসছে, এসব করে সব ধর্মকে অপমান করা হচ্ছে। এমন কোনো রিউমরস করা আসলে উচিত না, যেই রিউমরস জাতি, বর্ণ, ধর্ম সবকিছুর ওপর প্রভাব পড়ে।
পূজা চেরি আরও লেখেন, আমি একজন অভিনয় শিল্পী। বাংলা চলচ্চিত্রকে ভালোবাসি, এটাই আমার প্রফেশনের জায়গা। আমি সবসময় এই প্রফেশনকেই রেসপেক্ট করি এবং উপভোগ করি। এই প্রফেশনের বাইরে আমি কোনো রাজনৈতিক প্রফেশনের সঙ্গে যুক্ত নই।