কমিশনারের অপসারণ দাবি, কেএমপির সামনে ‘ব্লকেড’

2 months ago 7

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণ দাবিতে কেএমপি ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র-জনতা।

সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে কেএমপির সামনে খানজাহান আলী সড়কে অবস্থান নিয়ে ব্লকেড করেন তারা।

আন্দোলনকারীরা বলেন, খুলনার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি দিন দিন আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে। আমরা সাধারণ জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পুলিশ দায়সারা কাজ করছে। আমরা এখন ভয়ের মধ্যে আছি। আমাদের দাবি, কেএমপি কমিশনারকে অপসারণ করতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা জেলার সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, ছাত্র-জনতার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। আমাদের আন্দোলনে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিয়েছেন। খুলনার আইনশৃঙ্খলার অবনতির পেছনে কেএমপি কমিশনার দায়ী। আমরা তার অপসারণ চাই।

এর আগে, গত ২৪ জুন মারধর করে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাশকে খানজাহান আলী থানা পুলিশের কাছে তুলে দেন ফুলবাড়ি গেট এলাকার স্থানীয়রা। পরে রাতেই তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

বিতর্কিত এসআই সুকান্ত দাশকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ২৫ জুন দুপুর থেকে কেএমপি সদরদপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা। একপর্যায়ে তারা কেএমপির সদরদপ্তরের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।

আন্দোলনের মুখে ২৬ জুন সকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের যৌথ চেষ্টায় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে সুকান্ত দাশকে গ্রেফতার করা হয়। তবে আন্দোলনকারীরা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন চলমান রাখেন।

শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি পুলিশ কমিশনারের অপসারণের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবগত করবেন বলেন আশ্বাস দেন। কিন্তু পুলিশ কমিশনারের অপসারণ না হলে আন্দোলনকারীরা রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দেন। যার ধারাবাহিকতায় ৩০ জুন বিকেল ৪টায় কেএমপির সামনের সড়ক অবরোধ ও মঙ্গলবার (১ জুলাই) রূপসা সেতু অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে বিভিন্ন কলেজের সামনে ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনতা ব্যানারে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করা হয়।

আরিফুর রহমান/এসআর/এএসএম

Read Entire Article