কলকাতায় উদ্বোধনের পর থেকেই মেসির মূর্তি নিয়ে ট্রোল

গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে ফুটবলের তীর্থস্থান নামে পরিচিত কলকাতা শহরে পা রাখেন ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসি। তার আগমনে লেক টাউনের ক্লক টাওয়ারের সামনে তৈরি করা হয়েছে ৭০ ফুটের একটি বিশালাকৃতির মূর্তি। এতদিন এই এলাকার সৌন্দর্যের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল দিয়াগো মারাদোনার মূর্তি। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো আরেক ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসির মূর্তি। তবে মেসির মূর্তি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে ট্রোলিং। সাধারণ মানুষ হাস্যরস এবং কটাক্ষে মেতেছেন। অনেকেই মূর্তিটির আকৃতি নিয়ে হাস্যরস করছেন। অনেকেই বলছেন, মূর্তিটি বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা হৃতিক রোশন বা অন্য কারো মতো দেখাচ্ছে। এছাড়াও মূর্তির শৈল্পিক মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই, যা ফুটবল ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জম্ম দিয়েছে। মেসির ভক্ত সাহিল বর্মন জানিয়েছেন, মেসির মুখের সঙ্গে লেক টাউনের ক্লক টাওয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেসির মূর্তির কোনো মিল নেই। তবে ওই মূর্তির সঙ্গে অনেকটা মিল পাওয়া যাচ্ছে হৃতিক রোশনের সঙ্গে। মেসির আরও এক ভক্ত দ্বীপজয় দত্ত জানিয়েছেন, ভাগ্যিস মেসি এই মূর্তি

কলকাতায় উদ্বোধনের পর থেকেই মেসির মূর্তি নিয়ে ট্রোল

গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে ফুটবলের তীর্থস্থান নামে পরিচিত কলকাতা শহরে পা রাখেন ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসি। তার আগমনে লেক টাউনের ক্লক টাওয়ারের সামনে তৈরি করা হয়েছে ৭০ ফুটের একটি বিশালাকৃতির মূর্তি।

এতদিন এই এলাকার সৌন্দর্যের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল দিয়াগো মারাদোনার মূর্তি। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো আরেক ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসির মূর্তি।

তবে মেসির মূর্তি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে ট্রোলিং। সাধারণ মানুষ হাস্যরস এবং কটাক্ষে মেতেছেন।

অনেকেই মূর্তিটির আকৃতি নিয়ে হাস্যরস করছেন। অনেকেই বলছেন, মূর্তিটি বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা হৃতিক রোশন বা অন্য কারো মতো দেখাচ্ছে। এছাড়াও মূর্তির শৈল্পিক মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই, যা ফুটবল ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জম্ম দিয়েছে।

মেসির ভক্ত সাহিল বর্মন জানিয়েছেন, মেসির মুখের সঙ্গে লেক টাউনের ক্লক টাওয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেসির মূর্তির কোনো মিল নেই। তবে ওই মূর্তির সঙ্গে অনেকটা মিল পাওয়া যাচ্ছে হৃতিক রোশনের সঙ্গে।

মেসির আরও এক ভক্ত দ্বীপজয় দত্ত জানিয়েছেন, ভাগ্যিস মেসি এই মূর্তি সামনাসামনি দেখেননি। দেখলে নিজেকেই চিনতে পারতেন না। শিল্পির উচিত ছিল একটু ভালো করে দেখে মূর্তি তৈরি করা।

কাজল দাস নামে অপর এক মেসি ভক্ত জানিয়েছেন, ওই মূর্তিটা হৃত্বিক রোশন স্বচক্ষে দেখলে খুব খুশি হতেন যে, তার একটি মূর্তি মেসির মূর্তির জায়গায় কলকাতায় বসেছে।

এই মূর্তি বানিয়েছেন শিল্পী মন্টি পাল। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, কে কি বলছে বা কে ট্রোল করছে, সেসব আমি জানি না। জানার প্রয়োজনও নেই। সাধারণ মানুষের ভালো লাগলেই আমার কাজ সার্থক।

রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর উদ্যোগেই এই মূর্তিটি বসানো হয়েছে। মূর্তিটির নিজস্ব উচ্চতা ৫৩ ফুট। তবে মঞ্চে বসানোর পর তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭০ ফুট। মন্টি পাল ছাড়াও আরও ৪২ জন শিল্পীর পরিশ্রমে তৈরি হয়েছে এই মূর্তি। এখন কলকাতায় ফুটবলের নতুন আবেগের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে মেসির এই মূর্তি।

ডিডি/টিটিএন

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow