বাংলাদেশের সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের প্রতিবাদে কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিক্ষোভ করে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)। একই সঙ্গে দলের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের এক প্রতিনিধি দল দূতাবাস প্রধান সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান এর সঙ্গে দেখা করে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন।
পরে নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশে যে ঘটনা চলছে অবিলম্বে এটাকে বন্ধ করতে হবে, যাতে সেখানে দ্রুত শান্তি ফিরে আসে। সেখানকার সংখ্যালঘুদের সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে। তাদের পাশে থাকতে হবে। আমরা মিশনের কর্মকর্তাদের মারফত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই বার্তা দিয়েছি।
সিদ্দিকী আরও বলেন আমরা দেখেছি গতকালকেও বাংলাদেশের মাজারে ভাঙচুর করা হয়েছে, বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে আঘাত করা হয়েছে- এগুলো অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। পাশাপাশি যে আইনজীবীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে সেই বিষয়েও তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিত।
যদিও এদিন বিকালে স্মারকলিপি জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায় মিশন চত্বরে। আইএসএফ দলের পক্ষ থেকে সেই স্মারকলিপি হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের হাতে দিতে চাইলেও মিশনের রিইসেপশন তাদের কাছে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু আইএসএফ নিজেদের দাবিতে অনড় থাকে। এক সময় এই দাবিতে মিশনের প্রধান ফটক অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এই খবর শুনে সেখানে চলে আসেন আইএসএফ বিধায়ক নৌসাদ সিদ্দিকী। পরে সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আইএসএফের প্রতিনিধি দলকে ভেতরে ডেকে নেওয়া হয়।
অন্যদিকে এদিন দুপুরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভায় আলোচনা চেয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিরোধী দল বিজেপির বিধায়করা আলোচনা চাইলেও, তাতে সম্মতি দেয়নি বিধানসভার স্পিকার। এরপর চিন্ময় দাসের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিধানসভায় প্রদর্শন করে বিজেপি।
এর আগে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার পর পর দুই দিন মিশন চত্বরে আলাদা আলাদা ভাবে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করেছে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি, কংগ্রেস ও হিন্দু জাগরণ মঞ্চ।
ডিডি/এমএসএম