উৎসব ছাড়া বাঙালির মন ভরে না সে ঈদ হোক কিংবা দুর্গা পূজা। সবকিছুতেই বাঙালির একটা আলাদা উন্মাদনা কাজ করে। আর দুর্গা পূজার আগমনের দিন গোনা শুরু করাও তাই উৎসবেরই সূচনা বলা যায়। দূর্গা পূজার ঢাকে কাঠি পড়তে বাকি আর মাত্র হাতে গোনা কয়েক দিন। তার মধ্যেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ এই উৎসবের তোড়জোড়।
দুর্গা পূজার আগেই খুঁটি পূজা সারলেন দক্ষিণ কলকাতার নবীন সংঘ। আর খুঁটি পূজার মাধ্যমেই দূর্গা পূজার ঢাকে কাঠি পড়ে। এদিন পূজা করতে না পারলে পরের অন্যান্য শুভ দিনগুলোকে বেছে নিতে হয়।
বেশ কয়েক বছর ধরে জাঁকজমক করে খুটি পূজা পালন করছে কলকাতার নবীন সংঘের সদস্যরা। তবে এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা ঐতিহ্য-কাহিনি।
সব ঠিক থাকলে মহালয়ার আগের দিন দক্ষিণ কলকাতার নবীন সংঘ ক্লাবের মন্ডপ খুলে যাবে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য।
তবে অধিকাংশ পূজা মণ্ডপ এখনো প্রস্তুতি সেরে উঠতে পারেনি। কোথাও পূজার প্যান্ডেলে ৯০ শতাংশ কাজ হয়নি। আবার কোথাও প্রতিমাতে রংয়ের প্রলেপ পড়েনি। কেউ আবার কাপড় টাঙিয়ে খুটি পূজার ব্যবস্থা করেছে। তবে তাদের মধ্যে ব্যতিক্রম কলকাতার নবীন সংঘ।
কলকাতার নবীন সংঘ ক্লাবের অসীম জানা বলেন, এই দিনে আমরা মূলত তিনটি অনুষ্ঠান পালন করি যেখানে অন্যতম আমাদের স্বাধীনতা দিবস সঙ্গে রয়েছে খুঁটি পূজা এবং দুর্গা মন্ডপের কাজ সম্পূর্ন করা। আমাদের পূর্বসূরী যারা ছিলেন তাদের মাধ্যমে এই দুর্গা মন্ডপটা আমরা পেয়েছি সেই মন্ডপটি আমরা রক্ষা করতে চাই এবং পূর্বসূরীদের স্মরণ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বায়নের যুগে এক শতাংশ মানুষ হচ্ছেন পুজির পাহাড়ে। যাকে আমরা মডেল হিসেবে দেখি আমেরিকা থেকে শুরু করি আমরা। সেখান থেকে যদি শুরু করি একদম আফ্রিকা পর্যন্ত গরিব মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সম্পদের যে সমবণ্টন হচ্ছে না। এজন্য সাধারণ মানুষকে রাজনীতি করতে হবে তা না। এটা বলা উচিত ভারতে আমার অধিকার আছে।
ডিডি/টিটিএন