মালয়েশিয়ায় বিদেশি কর্মী নিয়োগের কোটায় (কলিং ভিসা) আবেদনের সুযোগ উন্মুক্ত করা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুতিয়ন ইসমাইল জানিয়েছেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই আবেদন করা যাবে।
তিনি জানান, কৃষি, বাগান ও খনি খাতের সব উপখাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের আবেদন করা যাবে। এছাড়া, সেবাখাতে নির্দিষ্ট কিছু উপখাতের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো— পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, স্থল গুদাম, নিরাপত্তা প্রহরী, ধাতু ও ভাঙারি ব্যবসা, রেস্তোরাঁ, লন্ড্রি, কার্গো পরিবহন এবং ভবন পরিষ্কার।
নির্মাণ খাতে শুধু সরকারি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট উপখাতে বিদেশি কর্মী নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। আর উৎপাদন খাতের ক্ষেত্রে নতুন বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোর জন্য বিদেশি কর্মী নেওয়া যাবে, যা মালয়েশিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এমআইডিএ) অনুমোদন দেবে।
আবেদন জমার নতুন নিয়ম
এবারের আবেদন শুধু সংশ্লিষ্ট খাতের এজেন্সিগুলো জমা দিতে পারবে। আগে যেভাবে নিয়োগ এজেন্ট বা নিয়োগকর্তারা সরাসরি আবেদন করতেন, এবার আর তা করা যাবে না।
অনুমোদন প্রক্রিয়া প্রথমে ফরেন ওয়ার্কার্স টেকনিক্যাল কমিটি যাচাই করবে এবং পরে যৌথ কমিটি চূড়ান্ত করবে।
বিদেশি কর্মী নীতিতে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত মোট ২৪ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫৬ জনের কোটা বহাল থাকবে। তবে ১৩তম মালয়েশিয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৬ সালের প্রথম বা দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকে বিদেশি কর্মী সংখ্যা সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হবে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন খাতে আবেদন করা যাবে:
- কৃষি খাত (সব উপখাত)
- বাগান খাত (সব উপখাত)
- খনি খাত (সব উপখাত)
- সেবাখাতের উপখাত:
- পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা
- স্থল গুদাম
- নিরাপত্তা প্রহরী
- ধাতু ও ভাঙারি ব্যবসা
- রেস্তোরাঁ
- লন্ড্রি
- কার্গো পরিবহন
- ভবন পরিষ্কার
- নির্মাণ খাত (শুধু সরকারি প্রকল্প)
- উৎপাদন খাত (নতুন বিনিয়োগ প্রকল্প, এমআইডিএ অনুমোদিত)
তথ্যসূত্র: বেনারমা, বিজনেস টুডে
কেএএ/