চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে চার ধাপে অনলাইন আবেদন নেওয়া হয়। নীতিমালায় তিন ধাপের কথা থাকলেও শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সবশেষ আরও এক ধাপে এ আবেদন নেয় কর্তৃপক্ষ। তবে ৪ ধাপ শেষেও কলেজে ভর্তির সুযোগ পাননি ১৬৯ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া পাঁচজনও রয়েছেন।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে চতুর্থ অর্থাৎ শেষ ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়। প্রথমে এসএমএসর মাধ্যমে স্ব স্ব শিক্ষার্থীকে তার ফল জানিয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এ ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। ফল বিশ্লেষণে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, শেষ ধাপেও ১৬৯ জন শিক্ষার্থী কোনো কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হননি। তাদের মধ্যে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া পাঁচজন রয়েছেন।
অন্যদিকে, দেশের ৩৪৮টি কলেজ ভর্তির জন্য একজন শিক্ষার্থীও পায়নি। তার মধ্যে ১৩টি কলেজে কেউ কোনো ধাপেই ভর্তির জন্য আবেদনই করেনি।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক মো. রিজাউল হক জানান, নীতিমালায় ছিল তিন ধাপে আবেদন নেওয়া হবে। সবশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর আমরা তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করেছিলাম। তাতে দেখা যায়, পাঁচ হাজার ২৪০ জন শিক্ষার্থী কোনো কলেজে নির্বাচিত হয়নি। তখন কলেজ না পাওয়াদের মধ্যে জিপি-৫ পাওয়া ২৯৫ জন ছিল।
অধ্যাপক রিজাউল হক বলেন, ‘এতসংখ্যক শিক্ষার্থীকে তো আর ভর্তির বাইরে রেখে কার্যক্রম শেষ করা যায় না। সেজন্য তাদের বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা আরও এক ধাপে আবেদন নিয়েছিলাম। এ ধাপে যাতে সব শিক্ষার্থী কলেজ পায়, সে বিষয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছিলাম। কিন্তু শিক্ষার্থীরা একই ভুল করছে। তারা এমন সব কলেজ পছন্দের তালিকায় দিচ্ছে, যেসব কলেজে পর্যাপ্ত আসন শূন্য নেই। ফলে শেষ ধাপেও ১৬৯ জন নির্বাচিত হয়নি।’
১৬৯ জনের ভর্তির কী হবে
শেষ ধাপেও কলেজ না পাওয়া ১৬৯ জন যে ভর্তির সুযোগ পাবেন কি না, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে একাদশে ভর্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঢাকা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, যেহেতু অসংখ্য কলেজে আসন ফাঁকা রয়েছে, সেজন্য কাউকে ভর্তিবঞ্চিত করা হবে না। আবার ম্যানুয়ালি ভর্তির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে এ নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে ভর্তি কমিটি।
ঢাকা বোর্ডের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘অনলাইনে আর আবেদন নেওয়ার সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব শিক্ষা বোর্ডে লিখিত আবেদন দিয়ে পছন্দের কলেজের নাম দিতে হবে। বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তাদের ভর্তি সম্পন্ন করা হতে পারে।’
এএএইচ/এমএএইচ/জিকেএস