কাজ শেষ না হতেই ৯ কোটি টাকার সড়কে ফাটল

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর-কালিয়ারচর আঞ্চলিক সড়ক সংস্কার কাজ শেষ না হতেই কার্পেটিং ফেটে গেছে। প্রায় সোয়া ৬ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় পৌনে ৯ কোটি টাকা। অথচ কাজের মান নিয়ে শুরু থেকেই নানা প্রশ্ন উঠছে। জানা যায়, কুটুম্বপুর বাস স্টেশন থেকে কেশেরা গরু বাজার ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন চলাচলের অনুপযোগী থাকায় এলজিইডির তত্ত্বাবধানে সংস্কার কাজ শুরু করে ওমর ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চলতি বছরের জুলাইয়ে কাজ শুরুর পর লোয়ার লেভেল ও ম্যাকাডাম নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। তখন সংবাদ প্রকাশের পর কিছু অংশ অপসারণ করা হলেও স্থানীয়দের মতে মানসম্মত কাজ নিশ্চিত হয়নি। সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার অংশে কার্পেটিং সম্পন্ন হলেও মুরাদপুর বাজার, দক্ষিণপাড়া, কাদের প্রধানের বাড়ি সংলগ্ন এলাকা ও পোনসাই মোড়সহ একাধিক স্থানে ২ থেকে ৪ ইঞ্চি চওড়া ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। কিছু এলাকায় সোল্ডার নির্মাণ না করে বস্তা দিয়ে চাপা দেওয়ায় বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ফাটলের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর রাতের আঁধারে তড়িঘড়ি করে জোড়াতাল

কাজ শেষ না হতেই ৯ কোটি টাকার সড়কে ফাটল
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর-কালিয়ারচর আঞ্চলিক সড়ক সংস্কার কাজ শেষ না হতেই কার্পেটিং ফেটে গেছে। প্রায় সোয়া ৬ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় পৌনে ৯ কোটি টাকা। অথচ কাজের মান নিয়ে শুরু থেকেই নানা প্রশ্ন উঠছে। জানা যায়, কুটুম্বপুর বাস স্টেশন থেকে কেশেরা গরু বাজার ব্রিজ পর্যন্ত সড়কটি দীর্ঘদিন চলাচলের অনুপযোগী থাকায় এলজিইডির তত্ত্বাবধানে সংস্কার কাজ শুরু করে ওমর ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চলতি বছরের জুলাইয়ে কাজ শুরুর পর লোয়ার লেভেল ও ম্যাকাডাম নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। তখন সংবাদ প্রকাশের পর কিছু অংশ অপসারণ করা হলেও স্থানীয়দের মতে মানসম্মত কাজ নিশ্চিত হয়নি। সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার অংশে কার্পেটিং সম্পন্ন হলেও মুরাদপুর বাজার, দক্ষিণপাড়া, কাদের প্রধানের বাড়ি সংলগ্ন এলাকা ও পোনসাই মোড়সহ একাধিক স্থানে ২ থেকে ৪ ইঞ্চি চওড়া ফাটল সৃষ্টি হয়েছে। কিছু এলাকায় সোল্ডার নির্মাণ না করে বস্তা দিয়ে চাপা দেওয়ায় বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ফাটলের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর রাতের আঁধারে তড়িঘড়ি করে জোড়াতালি সংস্কার চালানো হয়। এই সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী অটোচালক হযরত আলী বলেন, গত দুই–তিন বছর ধরে এই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে আমাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। কালিয়ারচর থেকে কুটুম্বপুর যেতে ২০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে এক ঘণ্টা লেগে যেত, গাড়ির যন্ত্রাংশও নষ্ট হতো। এখন নতুন করে রাস্তার কাজ শেষ না হতেই যদি ফেটে যায়, তাহলে এই দুর্ভোগ আবার ফিরে আসবে। আমরা এমন কাজ মেনে নিতে পারি না। এ বিষয়ে মেসার্স ওমর ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী জালাল উদ্দিন কালা উত্তেজিত হয়ে বলেন, কার্পেটিংয়ের পর গাড়ি ওঠার কারণেই কিছু জায়গায় ফাটল হয়েছে, সেগুলো রাতেই মেরামত করা হয়েছে। এসব নিয়ে রিপোর্ট করায় তার বড় ক্ষতি হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। অন্যদিকে উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম জানান, সড়কের কয়েকটি স্থানে ফাটল পাওয়া গেছে এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে সেগুলো যথাযথভাবে মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, জোড়াতালি নয়—সড়কের কাজের মান যাচাই করে প্রয়োজন হলে পুনরায় টেকসই সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow