কাজে ফিরেছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার পুলিশ সদস্যরা। শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে থানা কমপ্লেক্সের হলরুমে এক অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত হয়।
অনুষ্ঠানে ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্টের জিওসি মেজর জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ মাসীহুর রহমান, কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজুল করিম, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, পাকুন্দিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা আব্দুল জব্বার, পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামুন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর একের পর এক হামলা হতে থাকে থানাগুলোতে। এতে পুলিশ শূন্য হয়ে পড়ে সারাদেশের বেশিরভাগ থানা। কিশোরগঞ্জের অনেক থানাতেও এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। কর্মবিরতিতে যান পুলিশ সদস্যরা। অবশেষে নিজ নিজ ইউনিটের দায়িত্বে ফিরতে শুরু করেন পুলিশ সদস্যরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যার মধ্যে সব ইউনিটের সদস্যকে কাজে যোগদান করতে হবে। এমনই নির্দেশনা দেওয়া হয় পুলিশ সদরদপ্তর থেকে।
পাকুন্দিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, পাকুন্দা থানায় বড় কোনো ঘটনা সংঘটিত হয়নি। কিছু কিছু স্থানে সামান্য হামলা হয়েছিল। বর্তমানে উপজেলার পরিস্থিতি একদম সন্তুষ্ট রয়েছে। জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান, আসুন আমরা সবাই মিলেমিশে দেশের উন্নয়নে কাজ করি।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান টিটু বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একটি সেবা প্রতিষ্ঠান। আমরা সবসময় জনগণের সেবায় রয়েছি। আমাদের দাবিগুলো কর্তৃপক্ষ দেখবেন। আমাদের দরজা সব সময়ই খোলা।
এসকে রাসেল/জেডএইচ/জিকেএস