সিরাজগঞ্জে বন কর্মকর্তা পরিচয়ে কাঠের গাড়ি থেকে চাঁদাবাজির সময় গ্রেপ্তার হওয়া বনপ্রহরী রিপন মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে পাবনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মো. মাতলুবুর রহমান সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বরখাস্ত রিপন মিয়া (৪৫) বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ে অবস্থিত ইকোপার্কের বনপ্রহরী ও সদর উপজেলার জারিলা মধ্যপাড়ার আবু বক্কার মন্ডলের ছেলে।
বন কর্মকর্তা মাতলুবুর রহমান বলেন, বনপ্রহরী রিপন মিয়া চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার খবরে শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতেই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কাজিপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে তৈরি কাঠের আসবাবপত্র পিকআপযোগে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এসব আসবাবপত্র সরবরাহের রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে রিপন মিয়া নিজেকে বন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করত। পিকআপ প্রতি ১ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা নিচ্ছিলেন তিনি। সম্প্রতি পিকআপভ্যানচালক মোখলেসুর রহমান খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন রিপন মিয়া বন কর্মকর্তা নয়, বনপ্রহরী।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে কাঠের আসবাবপত্র বোঝাই পিকআপ নিয়ে কাজিপুর-সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের রহমতগঞ্জ কবরস্থান এলাকায় পৌঁছালে রিপন মিয়া পিকআপ থামিয়ে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে পিকআপ আটকের হুমকি দেন তিনি। বাধ্য হয়ে মোখলেসুর রহমান তাকে ১ হাজার টাকা চাঁদা দেন। এপর আরও ৬টি ফার্নিচারবোঝাই পিকআপ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ওই চালকদের কাছেও চাঁদা দাবি করেন রিপন মিয়া। এ সময় বাদী কৌশলে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রিপন মিয়াকে আটক করেন।
উল্লেখ্য, নিজেকে বন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে কাঠের গাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে ভুক্তভোগী চালক কাজিপুরের চালিতাডাঙ্গা গ্রামের মোখলেসুর রহমান বাদী হয়ে (১৫ নভেম্বর) বনপ্রহরী রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।