মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে ইসরায়েলের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরব নেতাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলার প্রায় এক সপ্তাহ পর কাতারের প্রতি সংহতির বার্তা দিতে সোমবার রাজধানী দোহায় একত্র হচ্ছেন আরব ও মুসলিম দেশের নেতারা। খবর এএফপির।
আরব লীগ ও অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) এই যৌথ জরুরি সম্মেলনের লক্ষ্য ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ানো, যেন গাজায় চলমান যুদ্ধ ও মানবিক বিপর্যয়ের অবসান ঘটে।
এদিকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, দোহায় অভিজাত এলাকায় গত সপ্তাহে চালানো ইসরায়েলি বিমান হামলায় তাদের শীর্ষ নেতারা বেঁচে গেছেন। ওই হামলায় ছয়জন নিহত হন, যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এর নিন্দা জানান।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে বলেন, এখন সময় এসেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বিচারিতা বন্ধ করার এবং ইসরায়েলকে তার সব অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়ার। গাজায় তাদের ‘নিধনযুদ্ধ’ সফল হবে না।
বার্তা সংস্থা এএফপির হাতে আসা খসড়া বিবৃতিতে সতর্ক করা হয়েছে, ইসরায়েলের ‘নৃশংস আগ্রাসন’ আরব দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা হুমকির মুখে ফেলছে।
ইসরায়েল এবং এর প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ২০২০ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মরক্কোর সঙ্গে স্বাক্ষরিত আব্রাহাম অ্যাকর্ডস সম্প্রসারণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
খসড়া বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত সপ্তাহের হামলা এবং ইসরায়েলের ‘গণহত্যা ও জাতিগত নিধনযজ্ঞ... শান্তি ও সহাবস্থানের সম্ভাবনাকে দুর্বল করছে’। এটা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের পথে এরই মধ্যে যা অর্জিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতের সব চুক্তিকে হুমকির মুখে ফেলছে।
টিটিএন