প্রায় ৫০ বছর পর কাবাডি টেস্ট খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ টেস্টের দিনক্ষণ ঠিকই আছে, বদলে গেছে প্রতিপক্ষ। শ্রীলঙ্কা দল অভ্যন্তরীণ নানা জটিলতায় টেস্ট পিছিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে নেপালকে প্রতিপক্ষ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।
২৯ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কা কাবাডি ফেডারেশন থেকে পাঠানো এক চিঠিতে একাধিক খেলোয়াড়ের পাসপোর্ট সংক্রান্ত জটিলতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ কারণে টেস্ট ম্যাচ পিছিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ২২ থেকে ৩০ এপ্রিল টেস্ট আয়োজন করলে শ্রীলঙ্কা অংশগ্রহণ করতে পারবে; কিন্তু বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের জন্য সরকারি অনুমোদন নিয়েছে, বরাদ্দ নিয়েছে ভেন্যু। এ অবস্থায় টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেপালকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। রোববার এক চিঠিতে অংশগ্রহণের বিষয় নিশ্চিত করেছে নেপাল। টেস্ট খেলতে আসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশ নারী দলকে নেপালে টেস্ট খেলার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
১৮ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সের পল্টন ময়দানে টেস্ট ম্যাচ আয়োজিত হবে। একই ভেন্যুতে আয়োজিত হবে তারুণ্যের উৎসব কাবাডি প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্ব। টেস্ট ম্যাচের জন্য জাতীয় দলের প্রস্তুতিও শুরু করেছে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন। ১০ জানুয়ারি নারী এবং পুরুষ দুই দলের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। দুই বিভাগে ছিল ২৭ জন করে খেলোয়াড়। পরবর্তী সময়ে সংখ্যাটা ২০-এ নামিয়ে আনা হয়।
প্রতিপক্ষ বদলে যাওয়ার পর টেস্ট আয়োজন সম্পর্কে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ কালবেলাকে বলেছেন, ‘অনেকেই হয়তো প্রশ্ন করবেন—টেস্ট ম্যাচ খেলা কি এখন জরুরি? আমি বলব অবশ্যই জরুরি। আন্তর্জাতিক কার্যক্রমে নামার আগে নিজেদের সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশ কিন্তু দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছে না। টেস্ট ম্যাচে আমরা দলের অবস্থা যাচাই করতে চাই। সে আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যাতে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছতে পারে।’