কাবাডি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নেই কেন?
ইংল্যান্ডে বসছে বিশ্বকাপ কাবাডি আসর। বাংলাদেশ কেন এ আসরে নেই?—এমন প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। এ নিয়ে বিভ্রান্তিও তৈরি হচ্ছে।
প্রকৃত চিত্রটা পরিস্কার করতে কালবেলার পক্ষ থেকে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনে যোগাযোগ করা হয়েছিল। বিভ্রান্তি দূর করতে ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগ আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশনে (আইকেএফ) যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। আইকেএফ সাধারণ সম্পাদক সাথাসিভাম মুনিসামির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল কালবেলা। এ প্রসঙ্গে মালয়েশিয়ান ভদ্রলোক বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডে যেটা হচ্ছে, ওটা বিদ্রোহী গ্রুপের বিশ্বকাপ। আইকেএফ স্বীকৃত নয়।’
কাবাডিতে দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থা বিদ্যমান। যার একটি আইকেএফ, আরেকটি ওয়ার্ল্ড কাবাডি ফেডারেশন (ডব্লিউকেএফ)। আইকেএফ বৈশ্বিক ভাবে স্বীকৃত সংস্থা। এ সংস্থার সভাপতি বিনোদ কুমার তিওয়ারি, যিনি এশিয়ান অলিম্পিক কাউন্সিলের আন্তর্জাতিক ও জাতীয় অলিম্পিক সংস্থা (এনওসি) সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক। কাবাডি বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রগুলোর জাতীয় দল এ সংস্থার সদস্য। ডব্লিউকেএফ-এর সদস্য বিভিন্ন দেশের বিদ্রোহীরা।
এখানে প্রশ্ন আসতে পারে একই খেলার দুটি বৈশ্বিক সংস্থা থাকতে পারে না কি? কাবাডি ছাড়া অন্যান্য ক্রীড়া ডিসিপ্লিনেও কিন্তু এমনটা দেখা যায়। দেখা যাচ্ছে অলিম্পিক ইভেন্ট তায়েকোয়নদোর বেলায়ও। সেখানে ওয়ার্ল্ড তায়েকোয়ানদো ফেডারেশন (ডব্লিউটিএফ) এবং ইন্টারন্যাশনাল তায়েকোয়ানদো ফেডারেশন (আইটিএফ) নামের দুটি সংস্থা রয়েছে। দুই সংস্থার অধীনে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপও অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। যার অর্থ এই নয় যে, উভয় সংস্থা বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত।
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) কর্তৃক স্বীকৃত সংস্থা হচ্ছে ডব্লিউটিএফ। এ সংস্থার অধীনস্থ জাতীয় ফেডারেশনগুলো অলিম্পিক এবং অন্যান্য স্বীকৃতি বৈশ্বিক আসরে অংশগ্রহণ করে থাকে।
দেশে কাবাডি বিশ্বকাপ সংক্রান্ত বিভ্রান্তি মূলত ছড়াচ্ছে খেলাটি সংশ্লিষ্ট কয়েকজন নিয়ে গড়া একটা চক্র; যাদের নানা কার্যক্রমের কারণে সম্প্রতি নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হচ্ছে বাংলাদেশ কাবাডি। কাবাডি বিশ্বের দুটি সংস্থা এবং তাদের কার্যক্রম সম্পর্কেও অবগত চক্রটি। কিন্তু ধুম্রজাল ছড়াতে উদ্দেশ্যে প্রনোদিতভাবে নানা মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবী করেছেন কাবাডি সংশ্লিষ্টরা।