নামাজের জন্য জায়নামাজ ব্যবহার অপরিহার্য নয়। যে কোনো পবিত্র জায়গায় নামাজ পড়া যায়। জায়নামাজ কোনো নির্দিষ্ট ধরন বা ডিজাইনের হওয়াও জরুরি নয়। জায়নামাজ হিসেবে যে কোনো পবিত্র কাপড় ব্যবহার করা যায়। তবে নামাজে একাগ্রতা ও ধ্যানমগ্নতার জন্য প্রতিবন্ধক হলে তা এমন কোনো দৃশ্য জায়নামাজে থাকা উচিত।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হজরত আয়েশার (রা.) ঘরে একটি পর্দা ছিল। তিনি তা দ্বারা তার ঘরের এক পাশ ঢেকে রেখেছিলেন। নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমার এ পর্দা আমার থেকে দূর করো। এর নকশাগুলো নামাজের ভেতরে বারবার আমার সামনে পড়ে। (সহিহ বুখারি: ৫৯৫৯)
কাবার ছবিযুক্ত জায়নামাজে নামাজ পড়তে সমস্যা নেই যদি তা নামাজে মনোযোগে সমস্যা সৃষ্টি না করে।
জায়নামাজে থাকা কাবা শরিফের ছবির ওপর বসলে বা পা পড়লে গুনাহ হবে না যদি তা অসম্মানের উদ্দেশ্যে না হয়। কাবা আল্লাহর ইবাদতের ঘর, বাস্তবে কাবার ভেতরে ও ছাদে বসা এবং নামাজ পড়াও জায়েজ এবং তাতে কাবার অসম্মান হয় না।
তবে জায়নামাজে কাবার ছবি থাকার কারণে অনেকভাবেই যেহেতু কাবার অসম্মান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই কাবার ছবিযুক্ত জায়নামাজ ব্যবহার অনুৎসাহিত করেন আলেমরা। কাবা আল্লাহর ঘর। মুসলমানদের কিবলা। আল্লাহর নিদর্শন হিসেবে কাবার সম্মান করা মুসলমানদের কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
ذٰلِکَ وَمَنۡ یُّعَظِّمۡ شَعَآئِرَ اللّٰهِ فَاِنَّهَا مِنۡ تَقۡوَی الۡقُلُوۡبِ
এটাই আল্লাহর বিধান এবং কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলি সম্মান করলে এটা তো তার অন্তরের তাকওয়ারই বহিঃপ্রকাশ। (সুরা হজ্জ: ৩২)
ওএফএফ/জিকেএস