কাবুলের রাস্তায় একা হাঁটতে পারেন না রশিদ খান

ক্রীড়াজগতের অনেক তারকার কাছে খ্যাতি মানে বিজ্ঞাপন, ভরা স্টেডিয়াম আর উল্লাস। কিন্তু আফগানিস্তানের ক্রিকেট আইকন রশিদ খানের কাছে খ্যাতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক ভিন্ন বাস্তবতা—নিরাপত্তার স্থায়ী শঙ্কা। সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক কেভিন পিটারসনের সঙ্গে এক খোলামেলা আলাপে আফগান অধিনায়ক জানিয়েছেন, কাবুলের রাস্তায় তিনি সাধারণ মানুষের মতো হাঁটতে পারেন না। নিরাপত্তার কারণে তাঁকে চলাচল করতে হয় বুলেটপ্রুফ গাড়িতে। ইউটিউব অনুষ্ঠান দ্য সুইচ-এ পিটারসনের প্রশ্নের উত্তরে রশিদ বলেন, “আমি আফগানিস্তানে রাস্তায় হাঁটতে পারি না। আমাকে বুলেটপ্রুফ গাড়িতে চলাচল করতে হয়।” পিটারসন বিস্ময় প্রকাশ করে জানতে চাইলে রশিদ সংক্ষেপে জানান, “এটা নিরাপত্তার জন্য। ভুল জায়গায় ভুল সময়ে পড়লে ঝুঁকি তৈরি হয়। আফগানিস্তানে এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়।” নিজের শৈশবের কথাও তুলে ধরেন আফগান এই তারকা লেগ স্পিনার। তিনি বলেন, “ছোটবেলায় আমাদের বাইরে গিয়ে খেলতে দেওয়া হতো না। তবুও আফগানিস্তানের হয়ে খেলা ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন।” অস্থির সামাজিক ও নিরাপত্তাজনিত বাস্তবতার মাঝেই বেড়ে ওঠা রশিদ আজ আফগান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মুখ। মাঠের পারফরম্যান্সেও তিনি

কাবুলের রাস্তায় একা হাঁটতে পারেন না রশিদ খান
ক্রীড়াজগতের অনেক তারকার কাছে খ্যাতি মানে বিজ্ঞাপন, ভরা স্টেডিয়াম আর উল্লাস। কিন্তু আফগানিস্তানের ক্রিকেট আইকন রশিদ খানের কাছে খ্যাতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক ভিন্ন বাস্তবতা—নিরাপত্তার স্থায়ী শঙ্কা। সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক কেভিন পিটারসনের সঙ্গে এক খোলামেলা আলাপে আফগান অধিনায়ক জানিয়েছেন, কাবুলের রাস্তায় তিনি সাধারণ মানুষের মতো হাঁটতে পারেন না। নিরাপত্তার কারণে তাঁকে চলাচল করতে হয় বুলেটপ্রুফ গাড়িতে। ইউটিউব অনুষ্ঠান দ্য সুইচ-এ পিটারসনের প্রশ্নের উত্তরে রশিদ বলেন, “আমি আফগানিস্তানে রাস্তায় হাঁটতে পারি না। আমাকে বুলেটপ্রুফ গাড়িতে চলাচল করতে হয়।” পিটারসন বিস্ময় প্রকাশ করে জানতে চাইলে রশিদ সংক্ষেপে জানান, “এটা নিরাপত্তার জন্য। ভুল জায়গায় ভুল সময়ে পড়লে ঝুঁকি তৈরি হয়। আফগানিস্তানে এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়।” নিজের শৈশবের কথাও তুলে ধরেন আফগান এই তারকা লেগ স্পিনার। তিনি বলেন, “ছোটবেলায় আমাদের বাইরে গিয়ে খেলতে দেওয়া হতো না। তবুও আফগানিস্তানের হয়ে খেলা ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন।” অস্থির সামাজিক ও নিরাপত্তাজনিত বাস্তবতার মাঝেই বেড়ে ওঠা রশিদ আজ আফগান ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মুখ। মাঠের পারফরম্যান্সেও তিনি সময়ের অন্যতম সেরা সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বোলার। টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত ১০৮ ম্যাচে ১৮২ উইকেট নিয়েছেন রশিদ, ইকোনমি মাত্র ৬.০৭। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর শিকার ৫০৪ ম্যাচে ৬৮৫ উইকেট, যার মধ্যে রয়েছে চারটি পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি। বিশ্ব ক্রিকেটে রশিদ খান তাই শুধু একজন ম্যাচজয়ী বোলার নন—তিনি আফগানিস্তানের কঠিন বাস্তবতার মধ্যেও স্বপ্ন দেখা এক প্রজন্মের প্রতীক।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow