শ্রীলঙ্কার তিন সাবেক প্রেসিডেন্ট রোববার কারাবন্দী সাবেক নেতা রনিল বিক্রমাসিংহের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তারা তার কারাবাসকে গণতন্ত্রের ওপর ‘পরিকল্পিত আক্রমণ’ হিসেবে নিন্দা করেছেন। খবর এএফপির।
জুলাই ২০২২ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকা বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে ৫৫ হাজার ডলার খরচ করে ব্রিটেনে যাত্রাবিরতি নিয়েছিলেন।
রিমান্ডে নেওয়ার একদিন পর শনিবার (২৩ আগস্ট) ৭৬ বছর বয়সী বিক্রমাসিংহকে তীব্র ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও পানিশূন্যতার কারণে কলম্বোর প্রধান রাষ্ট্রীয় হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়।
সাবেক প্রেসিডেন্টদের প্রতিক্রিয়া
- চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা (৮০) বলেছেন, এটি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ এবং এর প্রভাব সব নাগরিকের ওপর পড়তে পারে।
- মাহিন্দা রাজাপাকসে (৭৯) শনিবার বিক্রমাসিংহকে কারাগারে গিয়ে দেখে আসেন এবং তাকে আইসিইউতে নেওয়ার আগেই সমর্থন জানান।
- মৈত্রীপালা সিরিসেনা (৭৩) একে ‘উইচ হান্ট’ (ডাইনি শিকার) আখ্যা দিয়েছেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১৮ সালে তিনিই বিক্রমাসিংহকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করেছিলেন, যা পরে সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করেছিল।
বিক্রমাসিংহের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) জানিয়েছে, তিনি আবারও রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারেন—এই ভয়ে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অনুরা কুমারা দিশানায়েকের কাছে হেরে যান। নির্বাচিত কোনো পদে না থাকলেও তিনি এখনো সক্রিয় রয়েছেন।
২০২২ সালে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট ও বিক্ষোভের মধ্যে গোতাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগ করলে বিক্রমাসিংহ প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। বর্তমানে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।