কারো কাছেই কিছু প্রমান করার নেই লিটনের

2 hours ago 3
ঘটনাটি ঘটে গেল রোববার (১২ জানুয়ারি), যখন বাংলাদেশ ওপেনার লিটন দাস বিপিএলে ঝলমলে একটি সেঞ্চুরি করে নজর কাড়েন। একই দিন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার পর লিটনের এই ইনিংস যেন নিজের সামর্থ্য প্রমাণের এক নিঃশব্দ প্রতিবাদ। ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে লিটন তার প্রথম বিপিএল সেঞ্চুরি তুলে নেন মাত্র ৪৪ বলে। এই ইনিংসে ছিল ৮টি চার এবং ৭টি ছক্কা। লিটনের ঝোড়ো ব্যাটিং দলকে প্রথম জয়ের স্বাদ এনে দেয়, যা ছয় ম্যাচের হারার বৃত্ত ভাঙে। এই ইনিংসে লিটন বিপিএল ইতিহাসে বাংলাদেশের দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান হন। তার আগে আছেন কেবল পারভেজ হোসেন ইমন, যিনি ২০২০ সালের বিপিএলে ৪২ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। কাকতালীয়ভাবে, ইমনই এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্কোয়াডে লিটনের পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছেন। সম্প্রতি সাদা বলের ক্রিকেটে ফর্মহীন সময় কাটাচ্ছিলেন লিটন। তার শেষ ওয়ানডে ফিফটি এসেছিল ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে। শেষ পাঁচ ওয়ানডেতে তার রান মাত্র ৬, যার মধ্যে ছিল তিনটি শূন্য। এ অবস্থায় স্কোয়াড থেকে বাদ পড়া যেন প্রত্যাশিতই ছিল। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লিটন বলেন, ‘না ভাই, কাউকে কিছু প্রমাণ করার কিছু নেই। আমি এমন কিছু করার চেষ্টাও করি না। আমার মাথায় সবসময় থাকে, কীভাবে আমি নিজের খেলা উন্নত করতে পারি।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আজ যেভাবে খেলেছি, তা হয়তো আগামী ম্যাচে নাও হতে পারে। তবে আমি ধারাবাহিক হতে চাই। নির্বাচকেরা এখন আমাকে দলে যোগ্য মনে করেন না। তাদের মনে হলে হয়তো আমাকে সুযোগ দেবেন। আমি এখন বিপিএলে মনোযোগ দিচ্ছি এবং ভালো করার চেষ্টা করছি।’ লিটন জানান, বাদ পড়ার বিষয়ে সরাসরি কোনো বার্তা পাননি। তবে তিনি কারণ সম্পর্কে সচেতন। ‘নির্বাচকরা সরাসরি কিছু বলেননি। তবে মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি পরিস্কার হয়েছে। আমি জানি কেন বাদ পড়েছি। কারণ আমার পারফরম্যান্স ভালো ছিল না। এটা খোলামেলা সত্য।’ নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে লিটন বলেন, ‘আজকের ইনিংস অতীত হয়ে গেছে। আমাকে আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। প্রতিটি ম্যাচেই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’ লিটনের এই সেঞ্চুরি তাকে জাতীয় দলে ফেরানোর দরজা খুলে দেবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে। আপাতত বিপিএলের বাকি ম্যাচগুলোতেই নিজের সামর্থ্য প্রমাণের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চান তিনি।
Read Entire Article