কালো গাড়িতে অস্ত্র ফেলে মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা
খুলনার আদালত চত্বরে প্রকাশ্যে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে অস্ত্র মামলার হাজিরা দিতে আসা হাসিব হাওলাদার (৪১) ও ফজলে রাব্বি রাজনকে (৩৭)। স্থানীয় সূত্র জানায়, একটি কালো রঙের গাড়ি সার্কিট হাউজের দিকে অবস্থান করছিল। হামলার পর দুর্বৃত্তরা কালো রঙের গাড়ির দিকে দৌড়ে গিয়ে কাছে থাকা অস্ত্র সেখানে রেখে মোটরসাইকেলে আদালত এলাকা ত্যাগ করে। রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোনাডাঙ্গা থানার একটি অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিয়ে বের হয়ে চলে যাচ্ছিলেন রাজন ও হাসিব। এসময় ছয় থেকে সাতজনের একটি দল ফজলে রাব্বির ঘাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেন। অন্য একজন এসে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করেন। একই সময় আরেকজন হাসিবকে গুলি করেন। এরপর তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন। হামলার আগে হামলাকারীরা বিভিন্ন দোকানে ও কোর্টের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছিল। তারা টার্গেট নিয়ে ছিল। এ ঘটনায় হাসিব ঘটনাস্থলেই মারা যান। রাজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। পুলিশের দেওয়া তথ্য বলছে, হাসিবের বাড়ি নগরীর নতুনবাজার ওয়াপদা বেড়িবাঁধ
খুলনার আদালত চত্বরে প্রকাশ্যে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে অস্ত্র মামলার হাজিরা দিতে আসা হাসিব হাওলাদার (৪১) ও ফজলে রাব্বি রাজনকে (৩৭)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, একটি কালো রঙের গাড়ি সার্কিট হাউজের দিকে অবস্থান করছিল। হামলার পর দুর্বৃত্তরা কালো রঙের গাড়ির দিকে দৌড়ে গিয়ে কাছে থাকা অস্ত্র সেখানে রেখে মোটরসাইকেলে আদালত এলাকা ত্যাগ করে।
রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোনাডাঙ্গা থানার একটি অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিয়ে বের হয়ে চলে যাচ্ছিলেন রাজন ও হাসিব। এসময় ছয় থেকে সাতজনের একটি দল ফজলে রাব্বির ঘাড়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেন। অন্য একজন এসে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করেন। একই সময় আরেকজন হাসিবকে গুলি করেন। এরপর তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন। হামলার আগে হামলাকারীরা বিভিন্ন দোকানে ও কোর্টের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছিল। তারা টার্গেট নিয়ে ছিল। এ ঘটনায় হাসিব ঘটনাস্থলেই মারা যান। রাজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
পুলিশের দেওয়া তথ্য বলছে, হাসিবের বাড়ি নগরীর নতুনবাজার ওয়াপদা বেড়িবাঁধ রোডে এবং ফজলে রাব্বি রূপসা উপজেলার পূর্ব রূপসার বাগমারা আবদুর রবের মোড় এলাকার বাসিন্দা। হাসিব ও রাজনের নামে বিভিন্ন থানায় ৬টি মামলা রয়েছে। চলতি বছরের ৩০ মার্চ সোনাডাঙ্গা থানা এলাকার একটি অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী শেখ পলাশসহ ১১ জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছে থেকে উদ্ধার করা হয় পিস্তল, শটগান, কাটাবন্দুক, গুলি, কুড়াল এবং চাপাতিসহ দেশি অস্ত্র। সোনাডাঙ্গা থানায় দায়ের হওয়া অস্ত্র মামলায় ফজলে রাব্বিকে ৬ নম্বর এবং হাসিব হাওলাদারকে ১১ নম্বর আসামি করা হয়।
তথ্য অনুসারে, হাসিব হাওলাদারের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে সোনাডাঙ্গা থানায় এবং ২০১৮ সালে লবণচরা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি, ২০২৩ সালে সদর থানায় হত্যাচেষ্টা, ২০২৫ সালে সোনাডাঙ্গা থানায় অস্ত্র আইনে, সরকারি দায়িত্বপালনে বাধা ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনে মামলা আছে। ফজলে রাব্বির বিরুদ্ধে রূপসা থানায় ২০১৬ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে, ২০২৫ সালে সোনাডাঙ্গা থানায় অস্ত্র আইনে, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার), দুটি হত্যাসহ মোট ছয়টি মামলা আছে।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। অপরাধী ধরতে আমরা তৎপর। তবে তদন্তের পর পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড সিপি) ত. ম. রোকনুজ্জামান বলেন, নিহত দুজন পলাশ গ্রুপের সদস্য বলে জানা গেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ছয়টি মামলা রয়েছে। আধিপত্য বিস্তার, মাদক নিয়ে দ্বন্দ্বসহ নানা কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। এলাকায় গ্রেনেড বাবু, নূর আজিমসহ একাধিক গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। তবে আসামি গ্রেফতার হলে সঠিক তথ্য জানা যাবে। মূল ঘটনা উদঘাটনে সিআইডি, ডিবি ও পুলিশসহ একাধিক টিম কাজ করছে।
আরিফুর রহমান/এনএইচআর/এমএস
What's Your Reaction?