কিশোর হত্যা: সাবেক হুইপ আ স ম ফিরোজ কারাগারে

1 month ago 16

রাজধানী ভাটারা থানা এলাকায় সোহাগ মিয়া (১৬) নামের এক কিশোর হত্যা মামলায় সাবেক হুইপ আ স ম ফিরোজকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তার জামিন নামঞ্জুন করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে ২৩ আগস্ট রাতে ঢাকার বনানী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন ২৪ আগস্ট আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর সাত দিনের রিমান্ড শেষে গত ৩১ আগস্ট তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার রহস্য উদঘাটনে তার ফের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাসুদুর রহমান।

এসময় আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার ফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে ভাটারা থানাধীন ফরাজী হাসপাতালের সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় সোহাগ মিয়া। এ ঘটনায় ২০ আগস্ট তার বাবা শাফায়েত হোসেন ভাটারা থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯১ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় আ স ম ফিরোজকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ সম্বোধন করলে প্রতিবাদে দেশব্যাপী আন্দোলনের ডাক দেন শিক্ষার্থীরা। ওই আন্দোলন প্রতিহত করতে শিক্ষার্থীদের দমন করার ঘোষণা দেন আসামিরা। ফলে গত ১৯ জুলাই বিকেলে ভাটারা থানার ১০০ ফিট রোডের ফরাজী হাসপাতালের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে সরকারি নির্দেশনায় গুলিবর্ষণ করলে সোহাগ মিয়ার (১৬) বাম কানের মধ্যে লেগে মাথার পেছন দিয়ে গুলিটি বের হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

জেএ/এমআইএইচএস/এমএস

Read Entire Article