গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে সারা দেশের মতো কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে উজ্জীবিত বিএনপিসহ সমমনা দলের নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রোগ্রাম আর মিছিল মিটিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে তারা। এরই মধ্যে আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তারা।
তার মধ্যে জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও তার ডাকে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রামে উপস্থিত থেকে উৎসাহ দিচ্ছেন।
সম্প্রতি বিএনপির পক্ষ থেকে সৈয়দ এহসানুল হুদাকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান মর্মে পাঠানো চিঠিকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন আমেজ। জাতীয় দলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও বিএনপি ও সমমনা দলের নেতাকর্মীরাও তাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। নেতাকর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। দীর্ঘদিন আওয়ামী সরকার এই আসনের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে তাদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন ও মানুষকে নির্যাতনের যে ভয়াবহতা দেখিয়েছে সেখান থেকে বাঁচতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সৈয়দ এহসানুল হুদাতে আস্থা রাখতে চায় তারা।
সৈয়দ এহসানুল হুদা এখানকার বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনসহ দলের নেতাদের নিয়ে নিকলী-বাজিতপুর উপজেলাকে ঢেলে সাজাতে ব্যাপক আকারে কাজ করছেন। এতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া কর্মী-সমর্থকরা পুনরায় জাগ্রত হতে শুরু করেছেন। বিএনপি নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি।
উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনিসুর রহমান খোকন বলেন, আমরা চিঠি পেয়েছি। দলীয় চেয়ারম্যান আমাদের যে নির্দেশনা দিয়েছেন তার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বাজিতপুর উপজেলা যুবদলের সব নেতাকর্মী এহসানুল হুদাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। উপজেলার সব ইউনিয়নে সৈয়দ এহসানুল হুদাকে নিয়ে প্রোগ্রাম করে যাচ্ছি। বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের সব নেতাকর্মীকে নিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। সামনে সংসদ নির্বাচনে জোটের পক্ষ থেকে যদি তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয় তাহলে সবাই একত্রে মিলে জয়যুক্ত করার চেষ্টা করব। প্রতিটি প্রোগ্রামে এহসানুল হুদা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে ৩১ দফা রয়েছে তা সাধারণ মানুষের মধ্যে জানিয়ে দিচ্ছেন এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছেন।
বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা যুবদলের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আলম জানান, দলের নির্দেশনা আমার কাছে সবচেয়ে বড় নির্দেশনা। সৈয়দ এহসানুল হুদার একটি বিষয় আমার কাছে ভালো লেগেছে। বিএনপির চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রস্তাবনার লিফলেট সাধারণ মানুষের মাঝে বিলিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন প্রোগ্রামে সাধারণ মানুষের কাছে উপস্থাপন করছেন। এটি আমাদের বিএনপির জন্য পজেটিভ বিষয়। এখনো কিছু কিছু নেতাকর্মী দূরে সরে আছেন আশা করি আস্তে আস্তে সবাই একত্রে চলে আসবে। এখন পর্যন্ত আমাদের নিকলী-বাজিতপুর থেকে বিএনপির সংসদ সদস্য পেয়েছি ঠিকই, কিন্তু এই সংসদ সদস্যরা কেউ কোনো দিন সংসদে কথা বলতে পারেনি।
উল্লেখ্য, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদাকে তার নির্বাচনি এলাকা কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার জন্য বিএনপির কেন্দ্র থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভীর স্বাক্ষরিত ওই চিঠিটা কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর প্রেরণ করা হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনার চিঠি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিকলী-বাজিতপুর উপজেলার সব নেতাকর্মীকে সৈয়দ এহসানুল হুদাকে সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি। সব জনসংযোগ ও তার দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে তারা।