প্রথমবারের মতো নতুন লুকে ধরা দিয়েছেন কিয়ারা আদভানি। হৃতিক রোশনের সঙ্গে আলোচিত সিনেমা ‘ওয়ার ২’ জুটি বেঁধেছেন তিনি। সিনেমার গানের দৃশ্যে হৃতিক রোশনের সঙ্গে তার রসায়নের থেকেও কিয়ারা বিকিনি লুকই সবার নজর কেড়েছে। এই প্রথমবারের মতো কিয়ারা কোনো সিনেমাতে তার বিকিনি লুক প্রদর্শন করেছেন।
‘বিকিনি-বডি’ পেতে খাদ্যাভ্যাসে আমূল বদল আনতে হয়নি। সচেতনভাবে খাবার বেছে নেওয়া, খাবার খাওয়ার সময়, সঠিক খাদ্যাভ্যাসের কৌশল মেনেই ‘বিকিনি-বডি’ পেয়েছেন তিনি। এমনটাই প্রকাশ করেছেন বলিউডের পুষ্টিবিদ নিকোল লিনহারেস কেডিয়া।
পিংকভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, কিয়ারার খাদ্যাভ্যাস এমনিতেই ভালো। তিনি বাসার খাবারই বেশি পছন্দ করেন। ক্যামেরার সামনে নিখুঁত ‘বিকিনি-বডি’ পাওয়ার জন্য ছোটখাটো বদল আনতে হয়েছিল তাকে। তার সবচেয়ে বড় পরিবর্তন ছিল ম্যাক্রোনিউট্রিশনের দিকে মনোযোগ দেওয়া। বিশেষ করে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ানো আর একই সঙ্গে তাকে একটি নিয়ন্ত্রিত ক্যালরি ঘাটতিতে রাখা। এই প্রক্রিয়ায় আমাদের ছিল নিখুঁত পরিকল্পনা।
সকালের খাবার
কিয়ারার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকার সকালে খেতেন প্রোটিন প্যানকেক, যা তৈরি হতো ওসট ফ্লাওয়ার, আখরোটের গুঁড়া আর প্রোটিন পাউডার দিয়ে। প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি স্বাদ আনার জন্য প্যানকেকে রাখা হতো মঙ্ক ফলের নির্যাস (দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, বিশেষ করে দক্ষিণ চীনে পাওয়া যায় এই ফল) বা ম্যাপেল সিরাপ। উপরে ছড়িয়ে দেওয়া হতো বেরি ও ঘরে তৈরি হেজেলনাট বাটার। যাতে দীর্ঘ সময়ে তার শরীরে পর্যাপ্ত শক্তি জোগার থাকে।
দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারে কী খেয়েছিলেন
দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবার এমনভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল যাতে খাবার একইসঙ্গে পুষ্টিকর এবং উপভোগ্য হয়। গ্রিলড চিকেন বা হালকা মুরগির তরকারির চর্বিহীন প্রোটিন রাখা হয়েছিল। সেইসঙ্গে ছিল অ্যাসপারাগাস এবং ছোট আলুর মতো ফাইবার এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ সবজি। সব খাবারেই প্রোটিন থাকত বেশি, যাতে তার শরীরচর্চা ও টানা শুটিংয়ের ধকল সামলানো সম্ভব হয়। এছাড়া খাবারের তালিকা ঠিক করা হতো তার শরীরচর্চার ভিত্তিতে। অতিরিক্ত চর্বি বা প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে, টাটকা বানানো খাবার খেতে হয়েছে তাকে।
ব্যায়ামের পর ছিল ছাতুর পানীয়
ওয়ার্কআউট-পরবর্তী ফিটনেসের প্রোটিন শেক নয়, বরং ঘরে বানানো ডিটক্স ওয়াটার খেতেন তিনি। ছাতু (ভাজা বেসন), জিরা গুঁড়া ও তাজা ধনিয়াপাতা দিয়ে তৈরি পরিচিত ভারতীয় ক্লাসিক পানীয় পান করতেন তিনি। এই উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ ঠান্ডা পানীয়টি শরীরকে শীতল রেখে তাকে হাইড্রেটেড এবং সতেজ থাকতে সাহায্য করেছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
কেএসকেওয়াই/কেএসকে/জিকেএস