আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত চারজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) ভিক্টোরিয়া কলেজের কান্দিরপাড় উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করেছে।
আহতরা হলেন, মোস্তাফিজুর রহমান, অনয় দেবনাথ, মো. মাহিন ও মো. রিজভী। তারা কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, দুপুর ১২টার দিকে কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শাখার ব্যবসা শিক্ষার শিক্ষার্থী জিসান ও ফাহাদের সঙ্গে বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী তানভীন ও সিফাতের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এনিয়ে সিফাত ফাহাদের ওপর হামলা এবং জিসানকে মারধরের হুমকি দেয়। একপর্যায়ে ফাহাদ ও সিফাতের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে মারামারি শুরু হয়।
এসময় সিফাত তার বহিরাগত বন্ধুদের ফোন দিলে তারা এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সিফাতও ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা করে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পরে গুরুতর আহত চারজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করেছেন। পুলিশের ধারণা ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হতে পারে। তাদের আটক করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ আবুল বাসার ভূঁইয়া বলেন, সংঘর্ষে পর কলেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। যতটুকু জেনেছি আহতদের কেউ ভিক্টোরিয়া কলেজের নয়। তবে ভিক্টোরিয়া কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
কুমিল্লার কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, নবীন বরণকে কেন্দ্রকরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে তারা পালিয়ে যান। এরপর নগরীতে অভিযান চালিয়ে এক জনকে আটক করা হয়েছে।
জাহিদ পাটোয়ারী/আরএইচ/জিকেএস