কুমিল্লায় কোরবানির পশু কাটতে গিয়ে আহত ৫৫

2 months ago 24
কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় ঈদুল আজহার প্রথম দিনে পশু কোরবানি ও মাংস কাটতে গিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৫ জন। আহতরা বেশিরভাগই যুবক। শখের বশে কোরবানির পশুর মাংস কাটতে গিয়ে তারা আহত হয়েছেন। তবে আহতদের মধ্যে কয়েকজন পেশাদার কসাইও আছেন।  শনিবার (০৭ জুন) দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আহত হয়ে কুমিল্লা সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৫ জন। তাদের মধ্যে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৫ জন এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও ৩০ জন আহত চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতরা বলছেন, মাংস কাটাকাটিতে অনভিজ্ঞ হওয়ায় কাটতে হয়েছে হাত-পা। যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর যেতে হচ্ছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কারণ তাদের জখম রয়েছে।  কুমিল্লা সদর উপজেলার ইমরান আহমেদ আহমেদ জানান, ঈদের খুশিতে বাড়ির সবাই মিলে কোরবানি দেই। তারপর মাংস কাটার সময় পিছলে আমার আঙুলে লাগে। প্রথমেও টের পাইনি পরে দেখি, রক্ত ঝরছে। হাসপাতালে আশায় ৩টি সেলাই দিতে হয়েছে।   সদর উপজেলার ভুবন ঘর এলাকার কাশেম তালুকদার গরুর হাড় কোপাতে গিয়ে আঘাত পেয়েছেন হাতের কব্জিতে। তিনি বলেন, আল্লাহ বাঁচিয়েছে, আরেকটু জোরে লাগলে আমার হাতের কব্জি হয়তো আলাদা হয়ে যেত। জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এখন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হবে বলে এখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।  টিক্কার চর এলাকা থেকে আসা মো. রাসেল জানান, অভিজ্ঞতা ছাড়া মাংস কাটতে গেলে এরকম দুর্ঘটনা ঘটবেই। কারণ মাংস কাটাকাটির সময় ছুরি বা চাপাতি পিছলে যায়। তাই অভিজ্ঞতা ছাড়া এ কাজে না আসাই ভালো।  বালুতুপা থেকে আসা পেশাদার কসাই রুহুল আমীন জানান, হাড্ডি কোপাতে গিয়ে আমার পায়ে চাপাতি লেগেছে। সদর হাসপাতালে রাখেনি। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।  কুমিল্লা সদর হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার মো. জোবায়ের জানান, আহত যারা এসেছেন তারা বেশিরভাগই মাংস কাটাকুটি করতে গিয়ে আহত হয়েছেন। সবারই প্রায় হাতের আঙ্গুলে এবং পায়ে আঘাত পেয়েছেন। শনিবার ঈদের দিন দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আমরা অন্তত ২০ জনকে চিকিৎসা দিয়েছি। গুরুতর আহত যারা তাদেরকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Read Entire Article