কুমিল্লায় ছাত্রী উত্ত্যক্তের ঘটনায় বিদ্যালয়ে হামলা, আহত ১৫

4 hours ago 4

কুমিল্লার মুরাদনগরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগে বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষকসহ আহত হয়েছে ১৫ জন। এ সময় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলা শব্দর খান উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পরমতলা শব্দর খান উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ুয়া অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগ আনা হয় একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বাকি বিল্লাহর বিরুদ্ধে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিদ্যালয় থেকে নবম শ্রেণির ছাত্র বাকি বিল্লাহকে তুলে নিতে আসে ওই ছাত্রীর বড় ভাই ইমনসহ ৫ জন বহিরাগত।

এ সময় বাকি বিল্লাহ কে না পেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া তার দুই বন্ধু শাহজালাল ও আরমানকে তুলে নিয়ে বিদ্যালয়ের গেটের বাইরে মারধর করতে থাকেন।

বিষয়টি দেখতে পেয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বাধা দিলে তার ওপর হামলা চালায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বহিরাগত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ও গণিত বিভাগের শিক্ষক জহিরুল ইসলামসহ দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কিশোর গ্যাংয় সদস্যদের দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন।

খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় কিশোর গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে স্বজনদের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

এবিষয়ে পরমতলা শব্দর খান উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক দাতা সদস্য শাহজাহান খান বাবুল বলেন, ‘যদি কোনো ছাত্রীকে কেউ উত্ত্যক্ত করে থাকে। তাহলে সেটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানোর প্রয়োজন ছিল। এভাবে বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষার্থীদের টানা-হেঁচড়া করে বাহিরে নিয়ে গিয়ে মারধর করা এটা মোটেও কাম্য নয়।’

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে যে বহিরাগত পাঁচজন গিয়েছিল। তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরে তাদের স্বজনদের হস্তক্ষেপে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।’

জাহিদ পাটোয়ারী/আরএইচ/এমএস

Read Entire Article