কুমিল্লায় সেনাবাহিনী ও র‍্যাবের যৌথ অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, সন্ত্রাসী শামীম গ্রেপ্তার

কুমিল্লা মহানগরীর জাঙ্গালিয়া এলাকায় ২৩ বীর এবং র‍্যাব-১১ (সিপিসি-২) এর যৌথ উদ্যোগে একটি বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ নাজমুল ইসলাম শামীম নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। শনিবার গভীর রাত থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।সেনাবাহিনী সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে নাজমুল ইসলাম শামীমের বাসভবনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তার বাসা থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ স্থানীয়ভাবে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, দেশি ও বিদেশি গোলাবারুদ এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার ব্যবহৃত গোপন আস্তানাগুলোতেও তল্লাশি চালানো হয়, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। পরে র‍্যাব-১১ (সিপিসি-২) কর্তৃক আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় জিপিএস ও লোকেশন ট্র্যাকিং পরিচালনা করে সন্দেহভাজন শামীমকে আটক করা হয়।আটক হওয়া নাজমুল ইসলাম শামীম মহানগরীর ২১ নং ওয়ার্ডের জাঙ্গালিয়া এলাকার মরহুম আব্দুল হালিমের ছেলে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে স্থানীয়ভাবে তৈরি ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র/পাইপগান, ৬০ রাউন্ড শটগান কার্তুজ (১২ বোর × ৭০ মিমি – ৪০ রাউন্ড ও ১২ বোর × ৭৬ মিমি – ২০ রাউন্ড), ১৮ রাউন্ড মেশিনগান গোলা

কুমিল্লায় সেনাবাহিনী ও র‍্যাবের যৌথ অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, সন্ত্রাসী শামীম গ্রেপ্তার

কুমিল্লা মহানগরীর জাঙ্গালিয়া এলাকায় ২৩ বীর এবং র‍্যাব-১১ (সিপিসি-২) এর যৌথ উদ্যোগে একটি বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ নাজমুল ইসলাম শামীম নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। শনিবার গভীর রাত থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সেনাবাহিনী সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে নাজমুল ইসলাম শামীমের বাসভবনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তার বাসা থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ স্থানীয়ভাবে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, দেশি ও বিদেশি গোলাবারুদ এবং বিভিন্ন অপরাধমূলক সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার ব্যবহৃত গোপন আস্তানাগুলোতেও তল্লাশি চালানো হয়, তবে প্রাথমিক পর্যায়ে তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। পরে র‍্যাব-১১ (সিপিসি-২) কর্তৃক আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় জিপিএস ও লোকেশন ট্র্যাকিং পরিচালনা করে সন্দেহভাজন শামীমকে আটক করা হয়।

আটক হওয়া নাজমুল ইসলাম শামীম মহানগরীর ২১ নং ওয়ার্ডের জাঙ্গালিয়া এলাকার মরহুম আব্দুল হালিমের ছেলে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে স্থানীয়ভাবে তৈরি ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র/পাইপগান, ৬০ রাউন্ড শটগান কার্তুজ (১২ বোর × ৭০ মিমি – ৪০ রাউন্ড ও ১২ বোর × ৭৬ মিমি – ২০ রাউন্ড), ১৮ রাউন্ড মেশিনগান গোলাবারুদ (৭.৬২×৫৪ মিমি, POF নির্মিত), ১ রাউন্ড পিস্তল গোলাবারুদ (৭.৬২×২৫ মিমি, টোকরেভ: S&B নির্মিত), ১ রাউন্ড রিভলভার/এয়ারগান গোলাবারুদ, ১০টি ছুরি, চাপাতি ও চাইনিজ কুড়াল। এছাড়া দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ৮টি মানিব্যাগ, এটিএম কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও এনআইডি জব্দ করা হয়।

স্থানীয় বিভিন্ন প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সন্দেহভাজন শামীম জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ডের সহ-সভাপতি হিসেবে পরিচিত এবং তিনি পূর্বে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন। এছাড়াও তিনি কুমিল্লা শহরের একজন চিহ্নিত বড় চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিত। ভয়ের কারণে অনেকেই প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে বক্তব্য প্রদান করতে সাহস পান না, তবে একাধিক সূত্র থেকে তার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার পরই সেনাবাহিনী তার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে।

সন্দেহভাজন শামীমের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা ও কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় কমপক্ষে ৭টি মামলা বিদ্যমান। অস্ত্রসহ তাকে র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই অভিযানটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের আওতাধীন ৪৪ পদাতিক ব্রিগেডের অধিনায়কত্বে ২৩ বীর কর্তৃক পরিচালিত একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য ও সফল অভিযান, যা কুমিল্লা অঞ্চলে অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow