কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সেলিম উদ্দিন ভূঁইয়াকে (৫৫) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। পরে এ ঘটনায় করা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখায় পুলিশ।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিহতের বড় ভাই আব্দুর রহিম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়াকে প্রধান আসামি করে ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ৪০ জনকে।
নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতাররা হলেন উপজেলার গোত্রশাল গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মৃত তাজু মেম্বারের ছেলে আফসার (২৮), কাশিপুর গ্রামের মফিজের ছেলে ফারুক (৪২) ও গোত্রশাল গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন (২৪)। তাদের আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নিহত সেলিম ভূঁইয়া উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি একই ইউনিয়নের দায়েমছাতী গ্রামের খিলপাড়ার আবদুল খালেকের ছেলে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল ৩টায় বাঙ্গড্ডা বাদশা মিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া। একই সময়ে সাবেক এমপি আব্দুল গফুর ভূঁইয়া নেতাকর্মীদের নিয়ে উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নে একটি অনুষ্ঠান শেষে পেরিয়া ইউনিয়নে আরেক অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। আব্দুল গফুরের সমর্থকরা গাড়িবহর নিয়ে বাঙ্গড্ডা বাজার অতিক্রম করছিলেন। এসময় মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া সমর্থিত নেতাকর্মীরা পেছন থেকে হামলা চালান বলে অভিযোগ করেন গফুর ভূঁইয়ার অনুসারীরা। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে পাঁচজন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত সেলিম উদ্দিন ভূঁইয়াকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রোববার বিকেল ৩টায় স্থানীয় দায়েমছাতি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর/জেআইএম