কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে মেহেদী হাসান রাসেল (৩০) নামের এক ভুয়া ডাক্তারকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান কালবেলাকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়। পরে ভেড়ামারার নিরাময় ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে রাজশাহী থেকে আসা ভুয়া নিউরো মেডিসিন ডাক্তার মেহেদী হাসান রাসেলকে তদন্ত সাপেক্ষে আটক করা হয়। এ ক্লিনিকে গত ৩ সপ্তাহ ধরে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলেন। তিনি ডা. মো. মেহেদী হাসানের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে ক্লিনিকে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে অবগত ছিল।
নিরাময় ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তারা যাচাই-বাছাই করেই তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। কিন্তু তিনি যে অন্য ডাক্তারের রেজিস্ট্রেশন নকল করেছেন, সেটি তারা বুঝতে পারেননি।
ভেড়ামারা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মেহেদী হাসান মাসুম বলেছেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুষ্টিয়া জেলা সিভিল সার্জন আকুল উদ্দিন জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ডাক্তারকে তদন্ত সাপেক্ষে ভুয়া বলে চিহ্নিত করেছি। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে জেল ও জরিমানা করেছেন।
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম কালবেলাকে বলেছেন, আমরা জানতে পেরেছি ভুয়া ডাক্তার মেহেদী হাসান রাসেল ম্যাটস থেকে পড়েছে। সে মো. মেহেদী হাসান নামের এক ডাক্তারের নাম, পদবি ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করেছে। আমরা তাকে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল আইন ২০১০ এর ২৯ ধারা অনুযায়ী তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। অনাদায়ে আরও ১৫ দিন কারাদণ্ড হবে। এ রকম অভিযান আরও চলমান থাকবে।