সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল ও ২০১৮ সালের জারিকৃত পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে বেলা ১১টায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে অবস্থান নেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারাবাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে’ ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল, পরিপত্র পুনর্বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি সব চাকরিতে (১ম থেকে ৪র্থ শ্রেণি) সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে ‘কোটা সংস্কার’ করা, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া, দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৮ সালে এদেশের ছাত্রসমাজ ৫৬ শতাংশের যে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবি জানিয়েছিল। আন্দোলনের মুখে সরকার তখন কোটা ব্যবস্থার সংস্কার না করে তা বাতিল করে ছাত্রসমাজের সঙ্গে বেঈমানি করেছিল। সরকারের সেই পরিপত্র এখন হাইকোর্ট বাতিল ঘোষণা করে ৫৬ শতাংশের বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করেছে যা ছাত্রসমাজের মাঝে আবারও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
তারা আরও বলেন, বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে সেই বৈষম্য যেন আর না থাকে তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ জেগে উঠেছে। বর্তমান সময়ে অনেক শিক্ষার্থী চাকরি না পাওয়ার হতাশায় আত্মহত্যা করছে। অথচ বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা বহাল রেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। কোটা থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে অন্যদিকে কোটাধারীরা সুবিধা পাচ্ছে। তাই আমরা বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার চাই।
মুনজুরুল ইসলাম/এএইচ/এএসএম