লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় কুৎসা রটানোর জেরে মাদ্রাসাছাত্রী মাইমুনা আক্তারের (১৫) আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মো. ওমর রাহিম নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের জমিদারহাট এলাকা থেকে র্যাব তাকে গ্রেফতার করে।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে র্যাব- ১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম মোর্শেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন ওমর। তাকে গ্রেফতারের জন্য আমরা গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করি ও অবশেষে সফল হয়েছি। প্রাথমিকভাবে আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে কমলনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেফতার ওমর লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়িনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরলরেন্স গ্রামের বাসিন্দা। আর আত্মহত্যা করা মাইমুনা চরলরেন্স গ্রামের আবুধাবি প্রবাসী মো. মামুনের মেয়ে ও উপজেলার আল আরাফা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
র্যাব সূত্র জানায়, মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে একই এলাকার ওমর বিভিন্ন সময় মাইমুনাকে উত্ত্যক্ত করতো। ঘটনাটি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে ওমর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। একপর্যায়ে মাইমুনাকে নিয়ে ওমর এলাকায় বিভিন্ন কুৎসা রটায়।
২৩ অক্টোবর সকালে মেয়েকে বাসায় রেখে তার মা কেনাকাটার জন্য স্থানীয় করইতলা বাজারে যান। মা বাড়িতে ফিরে আসার আগেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মাইমুনা।
মৃত্যুর আগে তার এই পরিণতির জন্য ওমরকে দায়ীসহ বিচার দাবি করে চিরকুট লেখে যায় মাইমুনা। পরে পুলিশ চিরকুটটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় একই দিনে মাইমুনার মা বাদী হয়ে কমলনগর থানায় ওমরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
কাজল কায়েস/এসএএইচ