উপসাগরীয় দেশ কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুরক্ষা ও কল্যাণ বৃদ্ধির প্রক্রিয়া বিশেষ করে কর্মসংস্থানের অধিকার ও কর্মপরিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে ঢাকা ও কুয়েতের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও বাংলাদেশে নবনিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আলী তুনিয়ান আবদুল ওয়াহাব হামাদার মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উভয় পক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের, বিশেষ করে নারী কর্মীদের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে জোর দিয়েছে।
এ সময় চিকিৎসা অনুশীলনকারী, প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ এবং আইটি বিশেষজ্ঞসহ দক্ষ পেশাদারদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণের বিষয়টিও আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) আওতায় গত বছর কুয়েতে ৬৭০ জন বাংলাদেশি নার্স নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়।
- আরও পড়ুন
- কুয়েতকে আরও বেশি জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
- মালয়েশিয়ায় ন্যূনতম মজুরি ১৭০০ রিঙ্গিত, আজ থেকে কার্যকর
দুই পক্ষই জনশক্তি সহযোগিতা জোরদারে এটিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সহযোগিতা গভীর করার ক্ষেত্রে আরও উপায় অন্বেষণ করা হয়।
শ্রম সমস্যার বাইরেও বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।
কুয়েতি রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য তার দেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা তুলে ধরেন।
জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর জোর দেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, দুই দেশের মধ্যে সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য তার পূর্ণ সম্ভাবনার নিচে রয়েছে।
উপদেষ্টা কুয়েতি পক্ষকে বাংলাদেশে নতুন ব্যবসায়িক সুযোগ অন্বেষণ এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিসহ (এফবিসিসিআই) শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য উৎসাহিত করেন।
উভয় পক্ষই কর্মীবাহিনীর নিরাপত্তা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং বৃহত্তর অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে কাঠামোগত এবং কৌশলগত সহযোগিতার প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
ইএ/এএসএম