কৃষককে কুপিয়ে জখম, আটক ২

10 hours ago 5

পাবনার আটঘরিয়ায় হাসানুর হক (৪৫) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ওই কৃষককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের ভেতরেই স্বজনদের মারধর করে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। মামলা করলে হত্যাসহ নানা হুমকি দেওয়া হয়। এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশে খবর দিলে হাতেনাতে দুজনকে আটক করে পুলিশ। 

বুধবার (২০ আগস্ট) বিকেলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। 

এর আগে সকালে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের চক চবিবাড়ির ত্রিমোহনী এলাকায় হাসানুর হককে কুপিয়ে আহত করা হয়। হাসানুর হক ওই এলাকার আব্দুল বারেক বিশ্বাসের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

‎আটকরা হলেন চক চবিবাড়ির ত্রিমোহনী এলাকার খায়রুল ইসলাম ও হাশেম মুন্সী। তারা একদন্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা বলে জানা গেছে। 

‎মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আটঘরিয়ার ত্রিমোহনীর চৌরাস্তা মোড় পৌঁছামাত্র ৪-৫ জন আসামি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভুক্তভোগী হাছানুর হকের পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।

একপর্যায়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা হাছানুরকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগীর স্বজন ও স্বজনদের ওপর হামলা করা হয়। রুমে আটকে রাখা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সদর থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

‎ভূক্তভোগীর স্ত্রীর ববি খাতুন বলেন, এরা আওয়ামী লীগ করত। এখনো এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। এরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি ও মাস্তানি গুন্ডামি করে বেড়াচ্ছে।  আমার এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে। আসলে আমরা এখনো নিরাপত্তা পাচ্ছি না। 

আটঘরিয়া থানার ওসি শফিকুজ্জামান হামলা ও আটকের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুষ্কৃতকারীরা একজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সদর থানা পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

Read Entire Article