কুমিল্লায় কৃষককে দিয়ে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় এক নারী স্বাস্থ্য সহকারীকে শোকজ করা হয়েছে।
শনিবার (১ জুন) জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ভুলইন উত্তর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের শ্রীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১ জুন শিশুদের রাতকানা ও অন্ধত্ব রোগ প্রতিরোধে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। এ ক্যাম্পেইনে প্রতি টিকাদান কেন্দ্রে সরকারি খরচে দুই জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও লালমাই উপজেলার ভুলইন উত্তর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে কোনো স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
এর পরিবর্তে ওই ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য সহকারী তাছলিমা নাসরিন শ্রীপুর গ্রামের কৃষক ইয়াহিয়াকে দিয়ে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানোর আয়োজন করেন। কৃষক ইয়াহিয়ার খালি গায়ে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
পরে এ ঘটনায় রোববার (২ জুন) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সজিব ভট্টাচার্য্য অভিযুক্ত স্বাস্থ্য সহকারী তাছলিমা নাসরিনকে শোকজ করেন। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সহকারী তাছলিমা নাসরিন জাগো নিউজকে বলেন, কৃষক ইয়াহিয়ার বাড়িতে আমি ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াচ্ছিলাম। কিছুক্ষণের জন্য আমি বাড়ির একটি ঘরে আমার বাচ্চাকে নিয়ে গেলে আমার অনুপস্থিতিতে কৃষক ইয়াহিয়া শিশুদের ক্যাপসুল খাওয়ান। তবে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সরকারি তালিকায় ওনার নাম রয়েছে।
লালমাই উপজেলা ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক কাজী শাহাদাত হোসেন বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
লালমাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সজিব ভট্টাচার্য্য বলেন, শিশুদের ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াতে সরকারিভাবে প্রতিটি কেন্দ্রে দুই জন করে স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দিতে বলা হয়েছিল। ভুলইন উত্তর ইউনিয়নের শ্রীপুরে ইয়াহিয়ার বাড়ির কেন্দ্রে কেন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়া হয়নি সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সহকারীর কাছে ব্যাখা চাওয়া হয়েছে।
জাহিদ পাটোয়ারী/এফএ/জিকেএস