কৃষকের ৩০ শতাংশ আলুগাছ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা

মানিকগঞ্জের ঘিওরে সির্জন খলিফা নামে এক কৃষকের ৩০ শতাংশ আলুগাছ উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।  বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতের কোনো এক সময় সিংজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ নাটুয়াবাড়ি চকে এ ঘটনা ঘটে। তবে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।  ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের নাম সির্জন খলিফা।  সরেজমিন দেখা যায়, সির্জন খলিফার ৩০ শতাংশ জমির আলুগাছ সম্পূর্ণ উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। ক্ষেতের মধ্যেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সেগুলো। গাছে সবেমাত্র আলুর গুঁটি বাঁধতে শুরু করেছিল। সকালে ক্ষেতের এই অবস্থা দেখে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। সির্জন খলিফা বলেন, সকালে মেয়ের জামাইয়ের ফোন পেয়ে আলুক্ষেত দেখতে আসি। এসে দেখি সব শেষ। শত্রুতা থাকতে পারে, কিন্তু ফসলের কী দোষ। এনজিও থেকে ঋণ তুলে ও ধারদেনা করে এই আলু চাষ করেছিলাম। দুর্বৃত্তরা আমার প্রায় অর্ধলাখ টাকার ক্ষতি করে ফেলেছে। প্রশাসনের কাছে এই অমানবিক কাজের সুষ্ঠু বিচার চাই।  কৃষকের জামাতা জিন্নাত আলী বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে ক্ষেতের দিকে গিয়েই দেখি সব গাছ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে আমার শ্বশুরকে ফোন দিই। যারা রাতের আঁধারে এমন কাপুরুষোচিত কাজ করেছে, তারা মানুষরূপ

কৃষকের ৩০ শতাংশ আলুগাছ উপড়ে ফেলল দুর্বৃত্তরা

মানিকগঞ্জের ঘিওরে সির্জন খলিফা নামে এক কৃষকের ৩০ শতাংশ আলুগাছ উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। 

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতের কোনো এক সময় সিংজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ নাটুয়াবাড়ি চকে এ ঘটনা ঘটে। তবে শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। 

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের নাম সির্জন খলিফা। 

সরেজমিন দেখা যায়, সির্জন খলিফার ৩০ শতাংশ জমির আলুগাছ সম্পূর্ণ উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। ক্ষেতের মধ্যেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সেগুলো। গাছে সবেমাত্র আলুর গুঁটি বাঁধতে শুরু করেছিল। সকালে ক্ষেতের এই অবস্থা দেখে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

সির্জন খলিফা বলেন, সকালে মেয়ের জামাইয়ের ফোন পেয়ে আলুক্ষেত দেখতে আসি। এসে দেখি সব শেষ। শত্রুতা থাকতে পারে, কিন্তু ফসলের কী দোষ। এনজিও থেকে ঋণ তুলে ও ধারদেনা করে এই আলু চাষ করেছিলাম। দুর্বৃত্তরা আমার প্রায় অর্ধলাখ টাকার ক্ষতি করে ফেলেছে। প্রশাসনের কাছে এই অমানবিক কাজের সুষ্ঠু বিচার চাই। 

কৃষকের জামাতা জিন্নাত আলী বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে ক্ষেতের দিকে গিয়েই দেখি সব গাছ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে আমার শ্বশুরকে ফোন দিই। যারা রাতের আঁধারে এমন কাপুরুষোচিত কাজ করেছে, তারা মানুষরূপী পশু।

এদিকে এ ঘটনায় স্থানীয় কৃষকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা জানান, ফসলের সঙ্গে এমন নিষ্ঠুরতা কোনো সুস্থ মানুষের কাজ হতে পারে না। এমন জঘন্য ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। 

উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার কালবেলাকে বলেন, খবর শুনেছি বিষয়টি অত্যন্ত অমানবিক এবং দুঃখজনক। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তাকে সরকারি কোনো প্রণোদনা বা সহায়তা দেওয়া সম্ভব কি না, সে বিষয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করব। 

ঘিওর থানার ওসি মীর মাহাবুব কালবেলাকে বলেন, কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow