কৃষি ও সিএমএসএমই ঋণে প্রভিশনে বড় ছাড় বাংলাদেশ ব্যাংকের

কৃষি ও সিএমএসএমই (কটেজ, মাইক্রো ও স্মল) খাতের ঋণের ক্ষেত্রে প্রভিশন সংরক্ষণে বড় ধরনের ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে আর ৫ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হবে না। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে মাত্র ০ দশমিক ৫ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করলেই চলবে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আশা, এই ছাড়ের ফলে ব্যাংকগুলো কৃষি ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা খাতে ঋণ বিতরণে আরও আগ্রহী হবে, যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে। এতদিন প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, ঋণের গুণগত মান বিবেচনায় ব্যাংকগুলোকে নির্দিষ্ট হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হতো, যাতে কোনো ঋণ খেলাপিতে পরিণত হলে ব্যাংক আর্থিক ঝুঁকিতে না পড়ে। নিয়মিত বা অশ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে ০ দশমিক ২৫ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রভিশন রাখতে হয়। আর সাব-স্ট্যান্ডার্ড ঋণে ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ বা কুঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এদিকে, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের চাপ ক্রমেই বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ হিসাব অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর

কৃষি ও সিএমএসএমই ঋণে প্রভিশনে বড় ছাড় বাংলাদেশ ব্যাংকের

কৃষি ও সিএমএসএমই (কটেজ, মাইক্রো ও স্মল) খাতের ঋণের ক্ষেত্রে প্রভিশন সংরক্ষণে বড় ধরনের ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে আর ৫ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হবে না।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে মাত্র ০ দশমিক ৫ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করলেই চলবে।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আশা, এই ছাড়ের ফলে ব্যাংকগুলো কৃষি ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা খাতে ঋণ বিতরণে আরও আগ্রহী হবে, যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে।

এতদিন প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, ঋণের গুণগত মান বিবেচনায় ব্যাংকগুলোকে নির্দিষ্ট হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হতো, যাতে কোনো ঋণ খেলাপিতে পরিণত হলে ব্যাংক আর্থিক ঝুঁকিতে না পড়ে। নিয়মিত বা অশ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে ০ দশমিক ২৫ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রভিশন রাখতে হয়। আর সাব-স্ট্যান্ডার্ড ঋণে ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ বা কুঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এদিকে, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের চাপ ক্রমেই বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ হিসাব অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর শেষে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ৩৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এসব ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি খাতের ২৬টি ব্যাংক। ফলে ব্যাংকগুলোর সম্মিলিত প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকা।

ইএআর/এসএনআর/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow