কে এই আলোচিত প্রিয়মুখ আনিকা আইরা

1 week ago 11

বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনে এই প্রজন্মের বেশ কয়েকজন নবাগত অভিনয়শিল্পী নিজেদেরকে অভিনেতা অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাদের অন্যতম একজন আনিকা আইরা। আজকাল
দর্শকপ্রিয় ও আলোচিত নাটকগুলোতে দেখা মিলছে নতুন এই লাস্যময়ীর। ভুবন ভুলানো হাসিতে তিনি তারুণ্যের হৃদয়ে দোলা দিয়েছেন। কে এই আনিকা?

এই তরুণ তুর্কীর পারিবারিক নাম আনিকা বিনতে কামাল আইরা। তার পৈতৃক ভিটা বরিশালের ভোলায়। তার বাবার নাম মোস্তফা কামাল, মা খাদিজা আক্তার। তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। ছোট দুই বোন তনিকা ও মনিকা। আনিকার জন্মদিন ৬ জুন।

এই তরুণী জানান, ঢাকার একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছেন। বিষয়- ইংরেজি সাহিত্যে। স্বভাবতই ইংরেজি গল্প ও কবিতার প্রতি খুবই আগ্রহ এবং ভালো লাগা তৈরি হয়েছে। আনিকার ভাষ্য, অভিনয়ের প্রতিও ভীষণ দুর্বলতা ছিল তার। সেই আগ্রহ নিয়েই কয়েকবছর আগে ফটোশুট, মডেলিং দিয়ে শোবিজে পা রাখেন আনিকা আইরা। এরপর অভিনয়ে তার সুযোগ আসে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের পরিচালিত নাটক দিয়ে। পরের গল্পটা কেবলই এগিয়ে চলার।

রাজের পরিচালনায় ‘মনের সাথী’ নাটকে বেশ সপ্রতিভ আনিকাকে দেখে মুগ্ধ হন দর্শক। তাকে নিয়ে কাজ করে সন্তুষ্ট হন রাজও। তাই তার পরের নাটক ‘লাইক ফাদার লাইক সন’ -এও দেখা যায় আনিকাকে। এ নাটকটিতে তার বিপরীতে ছিলেন তামিম মৃধা।

এরপর আনিকাকে দেখা যায় মারুফ হোসেন সজীবের ‘আমার বউ সব জানে’, ‘আমি এখানেই থাকব’, রুবলে আনুশের ‘দেখা হওয়ার কথা ছিল’, মুহাম্মদ মিফতাহ আনানের ‘আপন যে জন’ নাটকগুলোতে। এরইমধ্যে শেষ করেছেন আরও দুটি নাটকের শুটিং। এর একটি আদনান সৈকতের ‘পরিবার পরিকল্পনা’।

কে এই আলোচিত প্রিয়মুখ আনিকা আইরা

অন্য আরেকটি নাটকের নাম ‘কাঠগোলাপের বিয়ে’। এটি প্রচারে আসবে ভালোবাসা দিবসে। নাটকটি নির্মাণ করেছেন মো. ফরিদ উদ্দিন। নাটকটি নিয়ে নিজের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আনিকা আইরা বলেন, ‘আমার কাছে সবকিছুই স্বপ্নের মতো মনে হয়। অভিনয়ে আসবো বলে ইচ্ছে ছিল, সেটা এভাবে পূর্ণ করতে পারব ভাবিনি। অশেষ ধন্যবাদ জানাই মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ ভাইকে। তার জন্যই অভিনয়ের দুনিয়ায় পা রাখতে পেরেছি। শুরুটাও ছিল দারুণ একটা গল্প দিয়ে। দর্শক আমাকে শুরু থেকেই গ্রহণ করেছেন, তাই তাদের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আশা করছি আগের নাটকগুলোর মতো আসছে ভালোবাসা দিবসে ‘কাঠগোলাপের বিয়ে’ নাটকটিও সবার ভালো লাগবে।’

অভিনয়ে নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা জানিয়ে আনিকা বলেন, ‘আগামীটা কেমন হবে জানিনা তবে একজন সুঅভিনেত্রী হবারই প্রবল ইচ্ছে নিয়ে এসেছি। ট্রেন্ডি কাজ করে রাতারাতি তারকা হয়ে একটা সময় হারিয়ে যেতে চাই না। সবার মনে দাগ কাটে এমন কিছু চরিত্রে কাজ করতে চাই।’

‘নিজেকে ভালো কাজের সঙ্গে রাখতে চাই। সেটা যে প্লাটফর্মেই হোক। সিনেমা তো অনেক বড় মাধ্যম। সেখানে কাজের স্বপ্ন কে না দেখে। আমিও চাই সিনেমায় অভিনয় করব একদিন। দেখা যাক কতদূর কি হয়’- সিনেমায় কাজের প্রসঙ্গে জানান আনিকা।

এলআইএ/এএসএম

Read Entire Article