নাজমুল হোসেন শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে হয়ে গেলো আরেক নাটক। এর আগে তিন ফরম্যাটেরই নেতৃত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন শান্ত। কিন্তু বিসিবি তাকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে ওয়ানডে আর টেস্টে অধিনায়ক রাখে।
এর মধ্যে সম্প্রতি হুট করে ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শান্তকে। নতুন অধিনায়ক করা হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজকে।
টি-টোয়েন্টিতে লিটন দাস, ওয়ানডেতে মেহেদী হাসান মিরাজ আর টেস্টে নাজমুল হোসেন শান্ত; তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক তত্ত্বে ফিরে গিয়েছিল বিসিবি।
এরই মধ্যে টেস্টের নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিলেন শান্ত। হুট করে ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ায় অভিমানে টেস্টের অধিনায়কত্বও ছাড়তে পারেন, এমনটা শোনা গিয়েছিল আগেই। তবে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত সেটি স্বীকার করলেন না। বললেন, ব্যক্তিগত বিষয় নয়, দলের ভালোর জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। আমি টেস্ট ফরম্যাটে আর এই দায়িত্ব পালন করতে চাই না। আমি সবাইকে পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এটা ব্যক্তিগত কোনো কিছু নয়। পুরোপুরি দলের ভালোর জন্য আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং আমি মনে করি এটাতে দলের ভালো কিছুই হবে।’
শান্তর মতে, তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক দলের জন্য সমস্যা করতে পারে। তাই তো তার এমন কথা, ‘এই ড্রেসিংরুমে গত কয়েক বছর ধরে, লম্বা সময় ধরে আমার থাকার সুযোগ হয়েছে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত যে তিনজন অধিনায়ক দলের জন্য সমস্যা হতে পারে। দলের ভালোর জন্য এখান থেকে সরে আসছি। যদি ক্রিকেট বোর্ড মনে করে যে, তিনটা অধিনায়কই রাখবে, এটা তাদের সিদ্ধান্ত।’
এরপর শান্ত যোগ করেন, ‘আমি আশা করব, কেউ যেন এরকম না মনে করে যে আমি ব্যক্তিগত কোনো কারণে বা রাগ থেকে সিদ্ধান্তটা নিয়েছি। এটা দলের ভালোর জন্য, এখানে ব্যক্তিগত কিছু নেই।’
এমএমআর/এএসএম