কেউই হারতে চায় না, বিশেষ করে ফাইনালে: মার্করাম

3 months ago 42

দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ফাইনালটাই যেন বড় প্রাপ্তি। বহুবার তাদের স্বপ্নের সমাধি হয়েছে সেমিফাইনালে। তাদের নামের সঙ্গে এজন্য জুড়ে গিয়েছে ‘চোকার্স’ তকমাও। এখন সবকিছুকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেছে প্রোটিয়ারা। সেমিতে আফগানিস্তানকে পাত্তাই দেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা।

৩২ বছরের চেষ্টার পর শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে নামবে প্রোটিয়ারা। এখানে অবশ্য তাদের পড়তে হবে কঠিন লড়াইয়ের মুখে। ফাইনালে প্রতিপক্ষ ভারত। সেমিফাইনালের বাধা টপকানোর পর দলের মধ্যে কি সন্তুষ্টি চলে এসেছে? ফাইনালের আগের সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামকে।

উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই খুশি ছিলাম ফাইনালে উঠার ওই রাতে। আমি নিশ্চিত, সব দলই তাই হবে। কিন্তু ঠিক তারপরই ড্রেসিংরুমে আমরা পেছন ফিরে তাকিয়েছি আর বলেছি, আমাদের আরও একটা ধাপ বাকি আছে। এখানে কোচ বা অধিনায়কের চালাতে হয় না। পুরো দলই এটা অনুভব করছে আর তা দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।’

‘স্বাভাবিকভাবেই স্পোর্টসম্যানরা তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী হয়। কেউই হারতে চায় না, বিশেষ করে ফাইনালে। এজন্য আমার মনে হয় না সন্তুষ্ট হওয়ার মতো কোনো ভাবনা আছে ছেলেদের মধ্যে, ফাইনালের ফল যাই হোক না কেন। আমার মনে হয়, এখন আমাদের তীব্র ক্ষুধা আছে ফাইনালটা জেতার।’

এবারের বিশ্বকাপে এখনও ফাইনালের ভেন্যু বার্বাডোজে খেলা হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে এই ভেন্যুতে খেলার অভিজ্ঞতা আছে প্রতিপক্ষ ভারতের। ফাইনালের আগে অবশ্য ঐচ্ছিক অনুশীলন করতে পেরেছে প্রোটিয়ারা, ভারত সেটি পারেনি। তবে এসব নিয়ে ভাবছেন না মার্করাম।

তিনি বলেন, ‘এই ধরনের টুর্নামেন্টে আপনি আসছেন, যেখানে সবকিছু দ্রুত হয়। একটা ম্যাচ খেললেন, প্লেনে উঠলেন, উড়লেন, নতুন একটা হোটেলে চেক ইন করলেন আর পরদিনই ম্যাচ খেলতে নামতে হচ্ছে আপনাকে। এজন্য আমার মনে হয় না, এখানে কী হচ্ছে, তা নিয়ে ভাবার সময় আছে খুব বেশি আছে। ফাইনালে আসাটাই আমাকে রোমাঞ্চিত করছে বেশি।’

আইএইচএস/এমএইচ/

Read Entire Article