কেএমপি কমিশনারের অপসারণ দাবিতে এবার রূপসা সেতু অবরোধ

বিতর্কিত উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাশ ইস্যুতে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণ দাবিতে রূপসা সেতু অবরোধ করে আন্দোলন করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

আন্দোলনকারীদের ভাষ্য, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন এসআই সুকান্ত দাশ। জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। অথচ রাতের আঁধারে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে আন্দোলনের মুখে আবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। সবকিছুই করেছেন কেএমপি কমিশনার। অন্যায়ের সঙ্গে আপস করা ব্যক্তিকে কেএমপির মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আমরা দেখতে চাই না। আমরা তার অপসারণ চাই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও খুলনা জেলার সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, অযোগ্য কমিশনারের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের আন্দোলন চলবে।

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতির পেছনে কেএমপি কমিশনার দায়ী। তার সমালোচিত কর্মকাণ্ডে নগরবাসী আস্থা হারিয়েছে। আমাদের জানমাল রক্ষার্থে আমরা রাজপথ ছাড়বো না।

এর আগে, গত ২৪ জুন মারধর করে এসআই সুকান্ত দাশকে খানজাহান আলী থানা পুলিশের কাছে তুলে দেন ফুলবাড়ি গেট এলাকার স্থানীয়রা। পরে রাতেই তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

সুকান্ত দাশকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ২৫ জুন দুপুর থেকে কেএমপি সদরদপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে ছাত্র-জনতা। একপর্যায়ে তারা কেএমপির সদরদপ্তরের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। আন্দোলনের মুখে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের যৌথ চেষ্টায় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থেকে সুকান্ত দাশকে গ্রেফতার করা হয়। তবে আন্দোলনকারীরা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন চলমান রাখেন।

শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় জেলা প্রেসক্লাবে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি পুলিশ কমিশনারের অপসারণের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবগত করবেন বলেন আশ্বাস দেন। কিন্তু পুলিশ কমিশনারের অপসারণ না হলে আন্দোলনকারীরা রাজপথ না ছাড়ার ঘোষণা দেন। যার ধারাবাহিকতায় সোমবার (৩০ জুন) বিকেল ৪টায় কেএমপির সামনের সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন তারা।

আরিফুর রহমান/এসআর/এএসএম